আইসিবি ও আইএফআইসির তিন কর্মকর্তা গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারে কেলেঙ্কারির মাধ্যমে তিন কোটি সাত লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল তাদের মৎস্য ভবন এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে ঢাকার রমনা মডেল থানায় দুদকের সহকারী পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে গ্রেফতারকৃত তিন আসামিসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলেন ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) সাবেক উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) টিপু সুলতান ফারাজি, আইএফআইসি ব্যাংকের পল্লবী শাখার ম্যানেজার মো. আবদুস সামাদ এবং আইসিবির সহকারী ব্যবস্থাপক (এজিএম, কলাবাগান) মো. এহিয়া মণ্ডল।
প্রণব কুমার আরও জানান, গতকাল ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদার তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক গুলশান আনোয়ার আসামিদের আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, আসামিরা অসৎ উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতারণার মাধ্যমে অপরাধমূলকভাবে বিশ্বাস ভঙ্গ করে আইএসটিসিএলের তিন কোটি সাত লাখ ৫৮ হাজার ৯০৭ টাকা আত্মসাতের প্রচেষ্টা বা আত্মসাৎপূর্বক ওই প্রতিষ্ঠানের আর্থিক ক্ষতি সাধন করেছেন। জামিন দিলে আসামিরা দেশের বাইরে পালিয়ে যাবেন।
আসামিপক্ষে মোসলেম উদ্দিন, ফিরোজ উদ্দিন প্রমুখ আইনজীবী জামিন চেয়ে শুনানি করেন। শুনানিতে তারা বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ নেই। তারা কোনো অপরাধ করেননি। নিজেদের স্বার্থে তারা কিছু করেননি। দুদক ডেকে নিয়ে তাদের গ্রেফতার করেছে। তারা বলেন, আসামিরা অসুস্থ, যেকোনো শর্তে জামিন দিন। জামিন দিলে তারা পলাতক হবেন না। প্রয়োজনে প্রতিদিন তারা আদালতে হাজিরা দেবেন।
দুদকের পক্ষে মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর জামিনের বিরোধিতা করেন। তিনি বলেন, আসামিদের গ্রেফতারে আইনের কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি। জামিন দিলে তাদের পলাতক হওয়ার আশঙ্কা আছে। আমি তাদের জামিনের বিরোধিতা করছি। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে ২০০৯, ২০১০ ও ২০১১ সালের শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির তিন কোটি সাত লাখ ৫৮ হাজার ৯০৭ টাকা আত্মসাৎসহ ও বিশ্বাস ভঙ্গ করে দণ্ডবিধির ৪০৯, ৪২০, ১০৯ ও দুদক আইন ৫(২) ধারার অপরাধ করেছেন। বৃহস্পতিবার (৩০ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর মৎস্য ভবন এলাকা থেকে এই তিন আসামিকে গ্রেফতার করে দুদক। দুদক জানায়, গতকাল ছয়জনের বিরুদ্ধে রমনা থানায় একটি মামলা করা হয়। মামলা নম্বর ৪৪। মামলার তদন্ত করছেন দুদকের সহকারী পরিচালক মো. গুলশান আনোয়ার প্রধান। গ্রেফতারকৃত তিনজন এই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি।