শেয়ার বিজ ডেস্ক: আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত আইসিসির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা-বিষয়ক একটি বিল পাস করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির প্রতিনিধি পরিষদে বিলটি পাস হয়েছে। খবর: রয়টার্স।
গাজা যুদ্ধের সঙ্গে সম্পর্কিত ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আহ্বান জানিয়েছিলেন আইসিসির প্রসিকিউটর করিম খান। এজন্য আইসিসির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের পদক্ষেপ নিয়েছে দেশটি।
প্রস্তাবটি ২৪৭/১৫৫ ভোটে পাস হয়েছে। রিপাবলিকানদের উপস্থাপন করা এই বিলটিকে ৪২ ডেমোক্র্যাট সমর্থন জানিয়েছিলেন। কোনো রিপাবলিকানই ‘না’ ভোট দেননি। তবে দুই ডেমোক্র্যাট কোনো পক্ষে নন বলে ভোট দিয়েছেন।
এই বিলটি আইনে পরিণত করার কোনো পরিকল্পনা নেই যুক্তরাষ্ট্রের। তবে আন্তর্জাতিক মহলের সমালোচনার মধ্যেই দেশটির এমন পদক্ষেপ ইসরায়েলের প্রতি অব্যাহত সমর্থনকে প্রকাশ করছে।
গত মাসে আইসিসি প্রসিকিউটরের পক্ষ থেকে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আহ্বানের সমালোচনা করেছিল হোয়াইট হাউস। এ বিলে আমেরিকান বা ইসরায়েলসহ আইসিসি সদস্য নয়, এমন মার্কিন মিত্র দেশের নাগরিকদের বিরুদ্ধে যদি আইসিসিতে মামলা হয়, তবে সেসব সম্ভাব্য মামলার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তাব রাখা হয়েছে।
প্রস্তাবিত বিলটি আইনে পরিণত হওয়ার পর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলে আইসিসি কর্মকর্তারা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে বাধার সম্মুখীন হবেন। তাদের যেকোনো ভিসা প্রত্যাহার করতে পারবে দেশটি। এমনকি দেশটিতে থাকা তাদের সম্পত্তির লেনদেন সীমিত করা করার প্রস্তাবও রাখা হয়েছে বিলটিতে।
উল্লেখ্য, নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির বিষয়টি ঘিরে ‘অপরাধীদের’ পাশাপাশি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে করিম খানের নাম উচ্চারিত হচ্ছে। তিনি আইসিসির প্রধান প্রসিকিউটর বা আইনজীবী। ২০২১ সালের জুনে এই পদে নিয়োগ পান তিনি। আইসিসির প্রধান কৌঁসুলি হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর একটা কথা বলেছিলেন খান। তিনি বলেন, আদালতকে তার কাজ দ্বারা বিচার করা উচিত। পুডিংয়ের প্রমাণ খাওয়ার মধ্যে থাকা উচিত।
করিম খান আরও বলেন, তিনি আইসিসির প্রধান প্রসিকিউটরের দায়িত্বে ‘দৃঢ়তা ও শক্তি-সামর্থ্য’ নিয়ে আসবেন। প্রায় তিন বছর পর গত ২০ মে তিনি যে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন, তা আইনজীবী হিসেবে তার দায়বদ্ধতা, দৃঢ়তা, শক্তি ও সাহসিকতা এবং একনিষ্ঠতারই প্রকাশ।
