প্রতিনিধি, নরসিংদী: নরসিংদী স্বাস্থ্য বিভাগ ও অভ্যন্তরীণ করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সিদ্ধান্তে নরসিংদী জেলার বেলাব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নতুন ১০০ শয্যা ভবনটি করোনাভাইরাস সন্দেহজনক রোগীদের জন্য আইসোলেশন সেন্টার ঘোষণা করা হয়। এ ঘোষণার পর আতঙ্কিত হয়ে রোগীশূন্য হয়ে পরেছে হাসপাতালটি। হাসপাতালটিতে পার্শ্ববর্তী কুলিয়ারচরসহ বেলাব উপজেলা ও বিভিন্ন এলাকার কয়েক হাজার মানুষ প্রতিদিন চিকিৎসা সেবা নিতে এলেও এখন সেখানে কোনো রোগী নেই। এ কারণে অলস সময় কাটাচ্ছেন হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ও কর্মকর্তা কর্মচারীরা। বেলাব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি সরেজমিনে দেখা গেছে, হাসপাতালে নেই আগের মতো রোগীদের কোলাহল। চিকিৎসকদের কাছে নেই লম্বা লাইন। বহির্বিভাগসহ ভর্তিকৃত রোগীও দেখা যায়নি। পুরুষ ওয়ার্ডে দুইজন রোগী ভর্তি থাকলেও, মহিলা ওয়ার্ড একেবারেই খালি। রোগী না থাকায় হাসপাতালে দেখা যায়নি চিকিৎসকদের উপস্থিতি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, কিছুদিন আগেও হাসপাতালের বহির্বিভাগে প্রতিদিনিএক থেকে দেড় হাজার রোগী চিকিৎসা সেবা নেয়ার জন্য আসতেন। পুরুষ ও মহিলা ওয়ার্ডের সবগুলো বিছানায় ভর্তি থাকতো রোগী। সম্প্রতি এ হাসপাতালে করোনা রোগীদের জন্য আইসোলেশন সেন্টার ঘোষণার খবর শুনে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে হাসপাতালে রোগী ভর্তি হচ্ছেন না। এমনকি বহির্বিভাগেও চিকিৎসা সেবা নিতে আসছেন না রোগীরা। হাসপাতালের তথ্যমতে, এ হাসপাতাল থেকে দৈনিক প্রায় দেড় হাজার রোগী বহির্বিভাগ থেকে চিকিৎসা নিতেন এবং প্রতিটি বিছানাই রোগী ভর্তি থাকতো। বর্তমানে করোনা আতঙ্কের কারণেই রোগী ভর্তির পরিমান শূন্যের কোটায় নেমে এসেছে। চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা জানান, হাসপাতালে সেবা নিতে এসে যখন শুনি এখানে করোনাভাইরাস রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হয় তখন ভয়ে প্রাইভেট চেম্বারে ডাক্তারের কাছ থেকে চিকিৎসা নিয়েছি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের একজন কর্মচারী জানিয়েছেন, করোনা রোগীদের জন্য আইসোলেশন সেন্টার ঘোষণা করা হলেও ৫০টি বেড ছাড়া এখানে নেই অন্য কোন সরঞ্জাম। ৫০ শয্যার নতুন ভবনটিতে আইসোলেশন সেন্টার করা হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত কোনো করোনা সন্দেহজনক রোগী এখানে ভর্তি হয়নি। এরপরও মানুষ আতঙ্কে এখানে চিকিৎসা নিতে আসছেন না। সুরক্ষা না থাকায় কর্তব্যরত চিকিৎসক ও কর্মকর্তা, কর্মচারীরাও অনেকটা আতঙ্কে দিন পার করছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম জানান, করোনা আতঙ্কের কারণেই রোগীরা ভর্তি হচ্ছে না ও চিকিৎসা নিতে আসছে না। আইসোলেশন সেন্টার ঘোষণা হলেও করোনা রোগীদের চিকিৎসা করানোর পর্যাপ্ত সরঞ্জাম এখানে নেই। শুধুমাত্র ৫টি পিপিই (পারসোনাল প্রোটেকশন ইকুইপমেন্ট) প্রদান করা হয়েছে। আইসোলেশন সেন্টারে কর্তৃপক্ষের ১০০টি বেডের লক্ষ্য থাকলেও বেড সংকট থাকায় বর্তমানে ১৯টি বেড প্রস্তুত রাখা আছে। করোনা আতঙ্ক কেটে গেলে হাসপাতালে রোগীর পরিমান বাড়বে বলে আশা করা যায়।
আইসোলেশন সেন্টার ঘোষণায় রোগীশূন্য বেলাব স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

আরো খবর ➔
সর্বশেষ
আর্কাইভ

রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র | শনি |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | ৫ | ৬ | ৭ |
৮ | ৯ | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ |
১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ |
২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ |
২৯ | ৩০ |