আউটলেটে আর্লি লার্নিং সেন্টার খুলবে মার্কস অ্যান্ড স্পেনসার

শেয়ার বিজ ডেস্ক: নিজস্ব পণ্যের কাটতি বাড়াতে ও পরিবারগুলোর কাছে নিজেদের আরও জনপ্রিয় করে তুলতে আর্লি লার্নিং সেন্টার ও নোবডি’স চাইল্ডের পণ্য বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে মার্কস অ্যান্ড স্পেনসার (এমঅ্যান্ডএস)। চলতি মাসেই অন্য ব্র্যান্ডের বিক্রি শুরু করতে চায় ব্রিটিশ বহুজাতিক খুচরা প্রতিষ্ঠানটি। খবর: দ্য গার্ডিয়ান।

আর্লি লার্নিং সেন্টার শিশুদের খেলনা বিক্রির খ্যাতনামা ব্র্যান্ড আর নোবডি’স চাইল্ড নামকরা ফ্যাশন ব্র্যান্ড। চলতি মাসে পোশাক, খাদ্য ও গৃহস্থালি পণ্য বিক্রির পাশাপাশি এমঅ্যান্ডএস ১০টি আউটলেটে শিশুদের খেলনা বিক্রি করবে। পাশাপাশি শিশুদের সময় কাটানোর জন্য কার্যক্রম বাড়ানো হবে আউটলেটগুলোয়। এর মধ্যে রয়েছে কেন্টের ব্ল–ওয়াটার শপিং সেন্টার, বার্মিংহামের লংব্রিজ ও লিভারপুল।

এমঅ্যান্ডএসের ব্র্যান্ড পরিচালক নেইল হ্যারিসন বলেন, পরিবারগুলোর কাছে আরও প্রাসঙ্গিক হতে এমন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এর আগে তাদের ওয়েবসাইটে আর্লি লার্নিং সেন্টারের পণ্য প্রদর্শন করা হয়, যাতে বেশ সাড়া পাওয়া যায় বলে জানান নেইল। তিনি বলেন, আমরা জানি আমাদের গ্রাহকদের একটি বিশাল অংশ শিশুদের পোশাক ও খেলনা তাদের পরিবার ও বন্ধুদের জন্য কিনতে চান। এ কারণে তাদের অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ করতে আমরা আর্লি লার্নিং সেন্টারের মতো ব্র্যান্ডকে যুক্ত করেছি। আশা করি এতে আমাদের দুই কোটি ২০ লাখ গ্রাহক উপকৃত হবেন।

এক বছর আগে অনলাইনে অন্য ব্র্যান্ডের পণ্য বিক্রি শুরু করে এমঅ্যান্ডএস। পরে ১৫টি দোকানে ক্লার্কস চিলড্রেনসের জুতা ও সিসল্টের পোশাক (নারীদের) বিক্রি করে প্রতিষ্ঠানটি, যাতে তাদের পোশাক বিভাগটি পুনরুজ্জীবিত হয়। আর্লি সেন্টারের পাশাপাশি বর্তমানে সিসল্টের ২০টি ও নোবডি’সের পণ্য দ্বিগুণ করছে এমঅ্যান্ডএস। এর আওতায় যুক্তরাজ্যে অন্তত ২৭টি দোকানে পোশাক ও শিশুদের খেলনার নানা পণ্য পাওয়া যাবে। প্রতিষ্ঠানটির মোট ২৮৪টি পোশাকের দোকান রয়েছে। এর চাহিদা বাড়তে থাকায় নারীদের খ্যাতনামা পোশাক ব্র্যান্ড জিইগারকে কিনেছে এমঅ্যান্ডএস।

এমঅ্যান্ডএস পোশাক ও হোম ডিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রিচার্ড প্রাইস বলেন, আমাদের দোকানগুলোয় যুক্ত হওয়া নতুন ব্র্যান্ডগুলো অধিক ক্রেতা আকর্ষণ করতে পারবে এবং খুচরা বিক্রেতার প্রচলতি ধারণা বদলে দেবে। বর্তমানে অনলাইনে আমাদের ৩৫টি ভিন্ন ব্র্যান্ডের পণ্য পাওয়া যাচ্ছে, এর মধ্যে রয়েছে সোসান্দার, স্মিগল ও জিগশয়ের মতো ব্র্যান্ডগুলো। এই ব্র্যান্ডগুলো এমঅ্যান্ডএসের মোট অনলাইন বিক্রির ৩ দশমিক ৫ শতাংশ (ক্রেতার সংখ্যা ১২ লাখ)। অর্থাৎ প্রতিষ্ঠানটির পোশাক ব্যবসা চাঙা করছে এসব ব্র্যান্ড।

গত সপ্তাহে এমঅ্যান্ডএসের খাদ্য খাতের প্রধান স্টুয়ার্ট মাচিন বলেন, বাণিজ্যিক সাফল্যের পাশাপাশি আমরা ক্রেতাদের এমঅ্যান্ডএস ইকোসিস্টেমে আগ্রহী করে তুলতে পারছি। অন্য ব্র্যান্ডগুলোর মাধ্যমে আমরা ক্রেতাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে পারছি। তাদের চাহিদা আরও ভালোভাবে বুঝতে পারছি।

চলতি বছর আরও পরিবর্তন আসছে প্রতিষ্ঠানটিতে। মে মাসে স্টিভ রোউর পরিবর্তে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হচ্ছেন স্টুয়ার্ট মাচিন। কেটি বিকারস্টাফকে উপপ্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে।

খুচরা ব্যবসার জগতে বিশ্বে শীর্ষস্থানীয় এ প্রতিষ্ঠানটি সম্প্রতি ঘণ্টায় ন্যূনতম মজুরি ১০ পাউন্ড কার্যকর করার পাশাপাশি বিনা খরচে কর্মীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা চালু করার ঘোষণা দিয়েছে, যা আগামী মাস থেকে চালু হবে। চলতি বছর ব্যবসা-বাণিজ্যে ইতিবাচক গতি আসবে বলে প্রত্যাশা করছে তারা। যুক্তরাজ্যে ৪০ হাজারের বেশি কর্মী রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির। কর্মীদের কাজের যথাযথ মূল্যায়ন এবং পুরস্কৃত ও সহায়তা করার ব্যাপারে তাদের সুনাম রয়েছে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০