শেয়ার বিজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়েই এ দেশে মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। আমরাই আবার তা ফেরত দিয়েছি।’
প্রধানমন্ত্রী আজ মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) মাওয়ায় পদ্মা সেতু রেলসংযোগ প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সুধী সমাবেশে এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাধীন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়েই দেশের মানুষের ভোটের ও ভাতের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়। ২১ বছর পর ক্ষমতায় এসে আমরা জনগণকে ভোটের ও ভাতের অধিকার ফিরিয়ে দেই। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলেই দেশের মানুষ ভোট দিতে পারছে। যারা আজ ভোটের অধিকারের কথা বলে আন্দোলন করছে, তারা কখনোই ভোট চুরি ছাড়া ক্ষমতায় আসতে পারেনি।’
২০০৮ সালে দ্বিতীয়বার সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পর দেশের কল্যাণে নেওয়া আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমরা দেশের রেলের উন্নয়ন ও আধুনিকায়নে বেশকিছু পরিকল্পনা নিয়েছি। আগামী তিন থেকে চার বছরের মধ্যে রেলের যোগাযোগ আরও উন্নত হবে। এতে দেশের মানুষের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে দেশে অর্থনৈতিক মন্দা চলছে। এ অবস্থায় অনেক দেশে খাদ্যের জন্য হাহাকার চলছে। আমরা এ খাদ্যসংকট থেকে উত্তরণের উপায় নিয়ে কাজ করছি। দেশের প্রতি ইঞ্চি জমি আবাদ করতে হবে। প্রত্যেককেই কৃষি উৎপাদনে এগিয়ে আসতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা দেশের দারিদ্র্যের হার ৪১ শতাংশ থেকে তিন শতাংশে নামিয়ে আনতে পেরেছি। দেশের একটি মানুষও ভূমিহীন ও গৃহহীন থাকবে না। আমরা গৃহহীন প্রত্যেক নাগরিককের ঘর করে দেব। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।’
নোবেল বিজয়ী বাংলাদেশি অর্থনীতিবিদ ড. মোহাম্মদ ইউনূসের কড়া সমালোচনা করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘একটি ব্যাংকের সামান্য এমডির পদে থাকতে না পেরে তিনি পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন বন্ধ করার ষড়যন্ত্র করেন। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, নিজেদের অর্থায়নে এ সেতু করব। আমরা সেটা করেছি।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন, শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সেনাবাহিনীর প্রধান এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ ও বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানাও উপস্থিত ছিলেন।
