নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রের লেবাস পরে গণতন্ত্র হত্যা করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান।
তিনি বলেন, আমরা মুখে যেটা বলি কাজেও সেটা করি। কিন্তু আওয়ামী লীগ মুখে যেটা বলে সেটা না করে অন্যটা করে। তারা গণতন্ত্রের কথা বলে, কিন্তু বাস্তবে দেশ থেকে গণতন্ত্রকে বিতাড়িত করেছে। শুধু আজ নয়, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পরে আওয়ামী লীগ যখন সরকার গঠন করলো, তখন সংসদে মাত্র ১১ মিনিটের ব্যবধানে গণতন্ত্রকে হত্যা করলো।
বুধবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘গণতন্ত্র ও মানবাধিকার পুনরুদ্ধারের এক দফার বিকল্প নেই’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরাম। সভায় প্রবন্ধ পাঠ করেন জিয়া পরিষদের সহকারী মহাসচিব এম নাজমুল হাসান।
ড. মঈন বলেন, হাজার বছরের ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা কেউ হরণ করতে পারেনি। আওয়ামী লীগ সরকারও তা পারবে না। বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীনতার জন্য, গণতন্ত্রের জন্য, ভোটাধিকারের জন্য জীবন দিয়েছে। আওয়ামী লীগের মতো একটি রাজনৈতিক দল গণতন্ত্রকে পদদলিত করতে পারবে না। জনগণ আবার জেগে উঠবে, দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে।
সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্র চায়। গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে, স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে। লগি বৈঠা দিয়ে, গুম-খুন-হত্যা করে কোনো পন্থায়ই মানুষকে পদদলিত করতে পারবে না।
তিনি বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ ও সুস্থ ধারার রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিত্ব করি। দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা রাজপথে আছি এবং থাকবো। দেশনেত্রীকে মুক্ত করবো, দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবো।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের মুখের ওপরে বলতে হবে, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রের প্রতিনিধিত্ব করে না। তারা বাকশালের প্রতিনিধিত্ব করে। আমরা শান্তি ও উদারনীতির রাজনৈতিক দল। আমরা প্রতিবাদ করছি, করে যাবো- যতক্ষণ না পর্যন্ত এ সরকারের পতন হয়, দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয়।