নিজস্ব প্রতিবেদক: মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সাধারণ মানুষকে জিজ্ঞাসা করে দেখুন, তারা সরকারের যেকোনো দপ্তরে প্রয়োজনে গেলে দুর্নীতি ছাড়া কোনো কাজ হয় না। বিগত সময়গুলোয় ক্ষমতায় থেকে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা যে বিপুল বিত্ত-বৈভবের মালিক হয়েছেন, সেই পরিমাণটা হিসাব করলেই আপনারা বুঝতে পারবেন দুর্নীতিটা কোথায় এবং কী পরিমাণে হচ্ছে।’
পদ্মা সেতু প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘যেখানে এই প্রকল্প শুরু হয়েছিল ১০ হাজার কোটি ডলারের বাজেটে, তা এখন দাঁড়িয়েছে ৪০ হাজার কোটি ডলারে। এভাবে সব মেগা প্রকল্পকে বাড়িয়ে সরকারের শীর্ষ নেতারা লুটপাট করে নিজেদের অর্থ সমৃদ্ধ করেছেন।’
‘তারেক জিয়া লন্ডনে বসে ষড়যন্ত্র করছে, সাহস থাকলে দেশে এসে রাজনীতি করুক’আওয়ামী লীগের এ দাবির বিষয়ে বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘২০০৮ সালে মঈন ইউ আহমেদ ও ফখরুদ্দীনের অবৈধ সরকারের সঙ্গে আঁতাত করে আওয়ামী লীগ তখন থেকেই তারেক জিয়ার বিরুদ্ধে অপপ্রচার শুরু করে। তারেক জিয়ার কোথাও কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বা লুটপাটের প্রমাণ না পেলেও তাকে অপপ্রচারের মাধ্যমে কলুষিত করার অপচেষ্টা করে আসছে। বিপরীতে দেশে গণতন্ত্র না থাকায়, অলিখিত সেন্সরশিপ চালু থাকায় তারেক জিয়ার বিষয়ে বিএনপি সত্য কথা প্রকাশ করার সুযোগ পায়নি।’
তিনি চ্যালেঞ্জ করে বলেন, ‘আপনারা নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করে নির্বাচন দেন। তাহলে তারেক জিয়া দেশে আসার পর যে গণজোয়ার শুরু হবে, সেটা আপনারা সামলাতে পারবেন তো?’
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ার বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আলুর দাম কোল্ড স্টোরে কম, কিন্তু ঢাকায় বেশি। কৃষকদের ন্যায্য মূল্য পাইয়ে দিতে সরকার কার্যকর ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়েছে। প্রতিটি ক্ষেত্রে সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণে চরমভাবে ব্যর্থ। ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট সরকারের সহযোগিতায় এই দাম বাড়িয়েছে।’
সাম্প্রদায়িক হামলা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ মনে করে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেরা তাদের ব্যক্তিগত সম্পত্তি এবং সেভাবেই তাদের সঙ্গে ডিল করে। দেশ স্বাধীনের পর থেকে জরিপ করে দেখা যাবে, এই ঘটনাগুলো বেশিরভাগই আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই হয়েছে। আর এবারের সব ঘটনাতেই আওয়ামী লীগ সরকার জড়িত, সেগুলো তো পত্র-পত্রিকায় ও চ্যানেলে দেখানো হয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কয়েক দিন আগে বলেছেন, দেশে কোনো মন্দির ধ্বংস হয়নি। আমি আশা করি, এসব বিষয় আমার হিন্দু সম্প্রদায়ের ভাইবোনেরা ভালোভাবেই জানেন।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমিন, যুগ্ম সম্পাদক পয়গাম আলী, অর্থ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম শরিফসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।