সম্প্রতি উড়োজাহাজ লক্ষ্য করে উপরের দিকে লেজার রশ্মি ছোড়ার প্রবণতা বেড়েছে। সতর্ক করেও নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। বিমানবন্দরের বাইরের এলাকা থেকে এসব আলোকরশ্মি ছোড়া হয় বলে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষও পদক্ষেপ নিতে পারছে না। উড়োজাহাজের উড্ডয়ন ও অবতরণ গুরুত্বপূর্ণ সময়। এ সময় এক মুহূর্তের জন্য পাইলটের মনোযোগ হারালে ঘটতে পারে বড় দুর্ঘটনা।
উড়োজাহাজের দিকে লেজার রশ্মি নিক্ষেপ করলে পাইলটরা বিভ্রান্ত হন। উচ্চশক্তির লেজার পাইলট এবং শত শত যাত্রী বহনকারী উড়ন্ত উড়োজাহাজকে অক্ষম করতে পারে।
এভাবে পাইলটদের নানা ক্ষতিসহ লেজার রশ্মি যাত্রীদের গুরুত্বপূর্ণ সময় নষ্ট করতে পারে। আচমকা এসব লাইটের কারণে অনেক সময় উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনাও ঘটতে পারে। লেজার রশ্মি বিমানে ছোড়া ঠেকাতে সরকারের তরফ থেকে নানা রকম প্রচার-প্রচারণা চালানো হচ্ছে। মোবাইলে খুদেবার্তার মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তবে লেজার রশ্মি নিক্ষেপ করে উড়োজাহাজ চলাচলে বিঘœ ঘটানো শাস্তিযোগ্য অপরাধও বটে। নিরাপত্তাজনিত কারণে চাইলে ব্যক্তিকে শনাক্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা সম্ভব। বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল আইন, ২০১৭-এর ২৬ ধারা অনুসারে এই ধরনের কাজ আইনত শাস্তিযোগ্য ও দণ্ডনীয় অপরাধ।
তাই আইনের আওতায় দণ্ডিত হওয়ার আগে নিজেরা সচেতন হওয়া জরুরি। উড়োজাহাজ, যাত্রী, পাইলট এবং সামগ্রিকভাবে সবার নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে লেজার রশ্মি নিক্ষেপ পরিহার করুন এবং অন্যকে সচেতন করুন। অন্যথায় একটি উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় বহু মানুষের জীবন কেড়ে নিতে পারে।
আবু মো. ফজলে রোহান
শিক্ষার্থী, দারুন্নাজাত সিদ্দিকীয়া কামিল মাদ্রাসা
ডেমরা, ঢাকা