এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ভারতের কর্ণাটকে ওমিক্রন আক্রান্ত দুজনের সন্ধান মিলেছে। সীমান্তবর্তী হওয়ায় বাংলাদেশও সতর্ক অবস্থানে। স্থলবন্দরে নেয়া হয়েছে বাড়তি সতর্কতা। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় যাত্রীদের অবাধ চলাচল থাকায় সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কায় ওমিক্রন সন্দেহভাজন হলে তাৎক্ষণিক পরীক্ষার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। অবশ্য সেখানে আগে থেকেই রয়েছে একটি হেলথ স্ক্যানিং বুথ।
দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ভারতের কর্ণাটকে আসা ৪৬ ও ৬৬ বছর বয়সী দুজনের দেহে ওমিক্রন ধরা পড়লে ওই রাজ্যের পাশাপাশি গোটা দেশটিতেই উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বেড়ে যায়। এসবের পাশাপাশি বাড়তি সতর্কতা নেয়া হয়। বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী হওয়ায় শুরুর দিকে এ নিয়ে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত বলে মনে করা হচ্ছে।
আখাউড়া স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন সূত্র জানায়, প্রতিদিন গড়ে ৮০ জন ভারতীয় নাগরিক এ বন্দর দিয়ে বাংলাদেশে আসেন। একই সঙ্গে এ বন্দর দিয়ে বাংলাদেশি যাত্রীও পারাপার হচ্ছেন। এ যাত্রীরা চিকিৎসা ও ব্যবসায়িক ভিসায় যাতায়াত করছেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, যাতায়াতকারী যাত্রীদের বিষয়ে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। ভারত
থেকে আসা যাত্রীরা স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে আসছে কি নাÑসেটি যেমন দেখা হচ্ছে তেমনিভাবে ওমিক্রণের উপসর্গ থাকলে তাৎক্ষণিক পরীক্ষা করার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত উপসর্গ নিয়ে আসা কোনো যাত্রী পাওয়া যায়নি।
আখাউড়া স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশের ইনচার্জ মো. আব্দুল হামিদ জানান, ‘স্বাস্থ্য বিভাগের একটি টিম বন্দরে কাজ করছে। নির্দেশনা অনুযায়ী যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষাসহ বিভিন্ন ব্যবস্থা নিচ্ছেন তারা। পুলিশও এ বিষয়ে সতর্ক আছে।’
হেলথ স্ক্যানিং বুথে দায়িত্বরত চিকিৎসক ফয়জুন্নেচ্ছা আমীন জানান, ‘কোনো ভারতীয় আসামাত্র তাদের কাছে কভিড পরীক্ষার কাগজপত্র আছে কি না, কারও কোনো উপসর্গ আছে কি না সেটিও নিশ্চিত করা হচ্ছে।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ জানান, ‘পরিস্থিতি অনুযায়ী নির্দেশনাও দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে। সর্বশেষ গত ২ ডিসেম্বর আসা নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্য বিভাগ কাজ করছে। কারও কোনো উপসর্গ থাকলে তার তাৎক্ষণিক পরীক্ষার নির্দেশনা দেয়া আছে।’
