নিজস্ব প্রতিবেদক: আখাউড়া স্থল শুল্ক স্টেশনের নিজস্ব জায়গায় বাজেয়াপ্ত করা চার ট্রাক বিভিন্ন পণ্য ধ্বংস করা হয়েছে। ধ্বংস করা পণ্যের মধ্যে রয়েছে-শাড়ি, থ্রি পিস, কিসমিস, আতশবাজি, দুধ, কসমেটিকস, রাবার, বিস্কুট, জিরা, সিগারেট, কারেন্ট জাল, তামাকের গুড়া, লবণ ইত্যাদি। কুমিল্লা কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের আওতাধীন ব্রাহ্মণবাড়িয়া শুল্ক গুদামে এসব পণ্য রক্ষিত ছিল। মঙ্গলবার (১৮ মে) কুমিল্লা ভ্যাটের অতিরিক্ত কমিশনার মো. আব্দুল হাকিম এর নেতৃত্বে ধ্বংস কমিটির সদস্যদের উপস্থিতিতে এসব পণ্য ধ্বংস করা হয়েছে। কুমিল্লা ভ্যাটের একাধিক কর্মকর্তা শেয়ার বিজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সূত্রমতে, ২০২০ সালের ৪ আগস্ট লেবাননের রাজধানী বৈরুত বন্দরের পাশে বিস্ফোরক দ্রব্যের গুদামে ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়। এতে বৈরুত শহর ভূমিকম্পের মতো কেঁপে ওঠে। প্রায় দেড় শতাধিক মানুষ নিহত ও পাঁচ হাজারের বেশি মানুষ, বহু ভবন ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। বন্দরের কাছাকাছি বিস্ফোরক দ্রব্যের গুদামে এমন ভয়াবহ বিস্ফোরণে সারা বিশ্ব নড়েচড়ে বসে। বিশেষ করে বন্দর এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে মজুদ ও বাজেয়াপ্ত যেকোন বিস্ফোরক নিয়ে। একইভাবে বাংলাদেশের সব বন্দর ও কাস্টমস এলাকায় বাজেয়াপ্ত বিস্ফোরক দ্রব্য ধ্বংস করার বিষয়ে তৎপর হয়ে উঠে। এরই প্রেক্ষিতে সম্প্রতি সকল বাজেয়াপ্ত বিস্ফোরক দ্রব্য ধ্বংস করতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সকল কাস্টমস হাউস ও ভ্যাট কমিশনারেটকে নির্দেশনা দেয়।
কুমিল্লা ভ্যাটের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ১৯৯৬ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ৩৫৯টি জিআর মামলায় বাজেয়াপ্ত করা এসব পণ্য বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। ব্রাহ্মণবাড়িয়া শুল্ক গুদামে রক্ষিত থাকা এসব পণ্য ধ্বংস করার উদ্যোগ নেয় কুমিল্লা ভ্যাট কমিশনারেট। এনবিআরের নির্দেশে কমিশনার এসব পণ্য ধ্বংস করতে কমিটি গঠন করেন। পরে কমিটির সদস্যদের উপস্থিতিতে আখাউড়া স্থল শুল্ক স্টেশনের নিজস্ব জায়গায় চার ট্রাক পণ্য নেওয়া হয়। তবে বাজেয়াপ্ত করা রাবার সেখানে ধ্বংস করা হয়নি। রাবার উন্মুক্ত স্থানে ধ্বংস বা পোড়ালে পরিবেশের ক্ষতি হতে পারে। পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তার মতামত ও কমিটির সিদ্ধান্তে প্লাস্টিক রি-সাইক্লিন করা কারখানায় বিনামূল্যে এসব রাবার দিয়ে দেওয়া হয়। কুমিল্লা কমিশনারেট এ নিয়ে বিগত সাত মাসের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো বাজেয়াপ্ত করা পণ্য ধ্বংস করা হয়েছে।