Print Date & Time : 22 June 2025 Sunday 12:07 am

আগামীকাল থেকে ২২ দিন ইলিশ ধরা নিষেধ

নিজস্ব প্রতিবেদক: ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধকালে কোনোভাবেই দেশের জলসীমায় ইলিশ আহরণের অবৈধ প্রচেষ্টা সফল হতে দেওয়া হবে না। এ সময় ইলিশের প্রজনন ক্ষেত্রে কোনোভাবেই মা ইলিশ আহরণ করতে দেওয়া হবে না। গতকাল সচিবালয়ে ‘মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান, ২০২০’ বাস্তবায়ন উপলক্ষে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, মা ইলিশ থাকতে পারে এমন নদীতে কোনো নৌকাকে মাছ ধরতে দেওয়া হবে না। নৌ-পুলিশ ও কোস্টগার্ডের টহলের পাশাপাশি অত্যাধুনিক উপায়ে মনিটর করা হবে যেন কোনো নৌকা বা জাহাজ ইলিশ ধরতে না পারে। এমনকি বিদেশ থেকে কোনো মাছ ধরার যান্ত্রিক নৌযান এলে সেটাকেও আইনানুগ প্রক্রিয়ায় আটক করা হবে।

মন্ত্রী আরও বলেন, সামগ্রিক ব্যবস্থাপনায় অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে এ বছর ইলিশ উৎপাদন হয়েছে। এ উৎপাদনের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য আমরা পরিকল্পনা নিয়েছি। আগামী ১৪ অক্টোবর থেকে আগামী ৪ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন মা ইলিশ ধরা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নৌ-পুলিশ, কোস্টগার্ড ও মৎস্য অধিদপ্তর সম্মিলিতভাবে কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। ৩৬ জেলার ১৫২ উপজেলায় আমাদের কর্মসূচি থাকবে। যারা ইলিশ আহরণ বা বিক্রি করতে পারবেন না, তাদের আমরা পর্যাপ্ত খাদ্য সহায়তা দিচ্ছি, যাতে মৎস্যজীবী, মৎস্য আহরণকারী বা এ প্রক্রিয়ায় জড়িত একজন মানুষও খাবারের সংকটে না থাকেন। এ বছর আমরা সশরীরে নৌ-পুলিশ ও কোস্টগার্ডসহ অন্যদের সঙ্গে মাঠে থাকব, যাতে ইলিশ উৎপাদনের সাফল্য কোনোভাবে ব্যাহত না হয়। ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধকালে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের বরফকল খুলতে দেওয়া হবে না।

ইলিশের প্রাচুর্য, স্বাদ ও সহজলভ্যতার কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এ বছর বিশ্বে উৎপাদিত মোট ইলিশের ৮০ ভাগের বেশি বাংলাদেশে উৎপাদিত হয়েছে। ইলিশের আকার ও স্বাদ অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক ভালো। ইলিশ একটা সময় দুষ্প্রাপ্য হয়ে যাচ্ছিল, সেই ইলিশ এখন সাধারণ মানুষের হাতের নাগালে পৌঁছে যাচ্ছে। ইলিশ উৎপাদনে অভাবনীয় সাফল্যের ব্যাপারে গণমাধ্যমের বড় ভূমিকা ছিল।

মন্ত্রী আরও জানান, আমরা চাই ইলিশ এমন একটা পর্যায়ে পৌঁছাবে যাতে আমাদের সব মানুষ ইলিশ খেতে পারে। ভবিষ্যতে পর্যাপ্ত ইলিশ উৎপাদন হওয়ার পর আমরা বাণিজ্যিকভাবে রপ্তানির চিন্তা করব। এ মুহূর্তে বাণিজ্যিকভাবে ইলিশ রপ্তানির কথা আমরা ভাবছি না। আশা করি অদূর ভবিষ্যতে আমাদের ইলিশের উৎপাদন ও সফলতা এমন জায়গায় পৌঁছে যাবে, যেদিন ইলিশ রপ্তানি করে অনেক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে আমরা সক্ষম হব।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রওনক মাহমুদ, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শাহ্ মো. ইমদাদুল হক, সুবোল বোস মনি, শ্যামল চন্দ্র কর্মকার, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী শামস্ আফরোজ, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ প্রমুখ এসময় উপস্থিত ছিলেন।