Print Date & Time : 21 June 2025 Saturday 10:34 am

আগামীকাল শুরু হচ্ছে ভূমিসেবা সপ্তাহ

নিজস্ব প্রতিবেদক:‘স্মার্ট ভূমি সেবায় ভূমি মন্ত্রণালয়’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ভূমি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আগামীকাল সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে ‘ভূমি সেবা সপ্তাহ, ২০২৩’, যা চলবে ২৮ মে পর্যন্ত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্বোধনকৃত স্মার্ট ভূমিসেবার মূল অংশীজন হিসেবে দেশের জনগণকে সম্পৃক্ত করা, স্মার্ট ভূমিসেবা বিষয়ে সবাইকে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে অবগত করা এবং ভূমিসেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে নিজ নাগরিক অধিকারের ব্যাপারে সবার মাঝে সচেতনতা বাড়ানোই এবারের ভূমি সেবা সপ্তাহের মূল লক্ষ্য। এছাড়া ভূমিসেবা সপ্তাহ চলাকালে বিশেষ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বেশ কিছু সেবা দেয়া হবে।

এবারের ভূমিসেবা সপ্তাহটি কেন্দ্রীয়ভাবে উদ্বোধন করা হচ্ছে না। স্মার্ট ভূমি ব্যবস্থাপনা স্থাপনে প্রথম ধাপে প্রধানমন্ত্রী ‘রেজিস্ট্রেশন-মিউটেশন আন্তঃসংযোগ’, ‘স্মার্ট ভূমি নকশা’, ‘স্মার্ট ভূমি রেকর্ড’ ও ‘স্মার্ট ভূমি-পিডিয়া’ উদ্বোধন করেন গত ২৯ মার্চ। আগামী ২২ মে সারাদেশে সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় কমিশনার এবং জেলা প্রশাসকরা নিজ নিজ অধিক্ষেত্রে স্থানীয়ভাবে ‘ভূমিসেবা সপ্তাহ, ২০২৩’ উদ্বোধন করবেন।

ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর নির্দেশে এই মাসের শুরুতে ভূমি সচিব মো. খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে ‘ভূমিসেবা সপ্তাহ, ২০২৩’ উদ্যাপনসংক্রান্ত এক প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়। পরে যথাযথ অনুমোদন প্রাপ্তির পর সভার সিদ্ধান্তের আলোকে সারাদেশে ‘ভূমিসেবা সপ্তাহ, ২০২৩’ পালনের নির্দেশনা পাঠানো হয়।

প্রবাসী বাংলাদেশিরা এখন চার ধরনের ভূমিসেবা বিদেশে থেকেই গ্রহণ করছেন। পর্যায়ক্রমে প্রবাসীদের আরও কিছু ভূমিসেবার আওতায় নিয়ে আসা হবে। এজন্য এই প্রথমবারের মতো স্বল্পপরিসরে প্রবাসী বাংলাদেশিদেরও স্মার্ট ভূমিসেবার বিষয়ে অবহিত করার উদ্যোগ নেয়া হবে।

উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ ভিশন, ২০৪১’ প্রতিষ্ঠা এবং স্মার্ট বাংলাদেশ রোডম্যাপে চারটি পিলার যথাক্রমে: স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট সোসাইটি, স্মার্ট ইকোনমি এবং স্মার্ট গভর্ন্যান্স অন্তর্ভুক্ত করে উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সরকার।

সরকারের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক উদ্বোধনকৃত চারটি স্মার্ট ভূমিসেবা ছাড়াও বেশকিছু ভূমিসেবা ব্যবস্থা ‘স্মার্ট ডিজিটালাইজ’ করা হচ্ছে। এছাড়া এরই মধ্যে ডিজিটালাইজ করা ভূমিসেবাগুলোও স্মার্ট করে তথা অধিকতর ব্যবহারকারী সহায়ক ও সহজ করে গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখ করা যেতে পারে ই-নামজারির দ্বিতীয় ভার্সন স্থাপনের কাজ এবং বাংলাদেশ ডিজিটাল সার্ভেতে ড্রোন প্রযুক্তির ব্যবহার।

সম্পদের দক্ষ ব্যবহার করে তথ্য চালিত উন্নত নাগরিকসেবা প্রদান এবং নাগরিক সেবা গ্রহণের অভিজ্ঞতা অধিকতর সহজ করার উদ্দেশ্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ব্লকচেইন, ক্লাউড কম্পিউটিং, ড্রোন এবং ইউএভি, রিমোট সেন্সিং, মেশিন ভিশন, বায়োমেট্রিক্স প্রভৃতি সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে স্মার্ট ভূমি ব্যবস্থাপনা সিস্টেম ডিজাইনে।

সারাদেশে স্মার্ট ভূমি ব্যবস্থা চালু হলে হলে নাগরিকদের খুব প্রয়োজন ছাড়া ভূমি অফিসে যেতে হবে না। একবার কোথাও ডিজিটাল জরিপ সম্পন্ন হলে সেখানে ভবিষ্যতে আর জরিপ করার প্রয়োজন পড়বে না। ভূমি নিয়ে মামলা-মোকাদ্দমা ও সীমানাবিরোধ কমে যাবে বহুলাংশে।