আগামী অর্থবছর প্রবৃদ্ধি হবে ৬.৭%

নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০১৮-১৯ অর্থবছর মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি হবে ছয় দশমকি সাত শতাংশ। এমনটাই পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। সে সঙ্গে চলতি অর্থবছর শেষে প্রবৃদ্ধি সাড়ে ছয় শতাংশেই আটকে থাকবে মনে করছে দাতা সংস্থাটি। বিশ্বব্যাংকের ‘গ্লোবাল ইকনোমিক প্রসপেক্টস: জুন ২০১৫’ শীর্ষক প্রতিবেদনে দক্ষিণ এশীয়া অংশে এ পূর্বাভাস তুলে ধরা হয়েছে। গতকাল প্রতিবেদনটি বিশ্বব্যাপী প্রকাশ
করা হয়।
যদিও সরকার বলছে, চলতি অর্থবছর শেষে জিডিপির প্রবৃদ্ধি হবে সাত দশমিক ৬৫ শতাংশ। আর আগামী অর্থবছর এ প্রবৃদ্ধির হার প্রাক্কলন করা হয়েছে সাত দশমিক আট শতাংশ।
প্রসঙ্গত, জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার নিয়ে গত কয়েক বছর ধরেই সরকারের হিসাবে সংশয় প্রকাশ করে আসছে বিশ্বব্যাংক। গত এপ্রিলে সংস্থাটির ঢাকা অফিসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়। এছাড়া গত অর্থবছরের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হিসাবেও গরমিল ছিল বলে বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়।
গতকাল প্রকাশিত প্রতিবেদনে চলতি অর্থবছরের প্রবৃদ্ধির কম হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, অর্থবছরের শুরুতেই বন্যা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে প্রবৃদ্ধি কিছুটা বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে। যদিও আগামী আগামী অর্থবছরে যেন এমনটি না হয় সে জন্য শক্তিশালী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তবে চলতি অর্থবছর শুরুতে খারাপ অবস্থা থাকলেও অর্থবছরের মাঝামাঝিতে এসে অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও কৃষি ক্ষেত্রের উন্নয়নের মাধ্যমে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়েছে।
আগামী অর্থবছরের প্রবৃদ্ধি নিয়ে বলা হয়, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ছয় দশমিক সাত শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হলে রফতানি আরও বাড়াতে হবে সে সঙ্গে বাড়তে রেমিট্যান্সের প্রবাহও। তবে আগামী অর্থবছরে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার বিষয়টিও তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা আস্থার সংকট তৈরি করে এবং প্রবৃদ্ধিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
এদিকে প্রতিবেদনে দক্ষিণ এশীয়া অংশে বলা হয়, দক্ষিণ এশীয়ার প্রবৃদ্ধি ধীরগতিতে হলেও তা অনেকটাই টেকসই। এই অঞ্চলের প্রবৃদ্ধি চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে।
আগামী অর্থবছর প্রবৃদ্ধি অর্জনে এ অঞ্চলে ভারত সবচেয়ে এগিয়ে থাকবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। দেশটি ২০১৮-১৯ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধির হার প্রক্ষেপণ করা হয়েছে সাত দশমিক তিন। এছাড়া মালদ্বীপ সাড়ে পাঁচ, ভুটান পাঁচ দশমিক চার, পাকিস্তান পাঁচ, শ্রীলঙ্কা চার দশমিক আট, নেপাল সাড়ে চার ও আফগানিস্তান দুই দশমিক দুই শতাংশ হার প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে।