শেয়ার বিজ ডেস্ক: জ্বালানি তেলনির্ভর উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদভুক্ত (জিসিসি) দেশগুলো আগামী বছর তেলবহির্ভূত খাতে ভালো করবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। বৈশ্বিক অর্থনীতির উন্নতির ধারা আগামী বছরও অব্যাহত থাকবে, যার প্রভাব এসব দেশেও পড়বে বলে প্রত্যাশা সংস্থাটির। খবর সিনহুয়া।
দশম আরব স্ট্র্যাটেজি ফোরামে অংশ নিয়ে ওয়াশিংটনভিত্তিক আইএমএফের মধ্যপ্রাচ্য এবং মধ্য এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক জিহাদ আজৌর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, জিসিসিভুক্ত দেশগুলোতে গড় প্রবৃদ্ধি চলতি বছর দশমিক পাঁচ শতাংশ কমবে বলে প্রাক্কলন করা হয়েছে। তবে ২০১৮ সালে তেলবহির্ভূত প্রবৃদ্ধি দুই দশমিক ছয় শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। আগামী বছর বৈশ্বিক অর্থনীতি প্রবৃদ্ধি তিন দশমিক সাত শতাংশ হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। এটা চীন, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ও উদীয়মান দেশগুলোর বাজারের ওপর নির্ভরশীল বলেও জানান তিনি।
তবে জিসিসির বর্তমান প্রবৃদ্ধি সেখানকার ১২ শতাংশ বেকারত্ব কমানোর জন্য যথেষ্ট নয় বলেও উল্লেখ করেন আজৌর।
১৯৮১ সালে মধ্যপ্রাচ্যের তেলসমৃদ্ধ ছয়টি দেশ সৌদি আরব, কুয়েত, বাহরাইন, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) ও ওমানকে নিয়ে উপসাগরীয় সহযোগিতা সংস্থা (জিসিসি) গঠিত হয়। আইএমএফের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, জিসিসিভুক্ত দেশগুলোর রাজস্বের ৭৫ শতাংশই তেল ও গ্যাসের ওপর নির্ভরশীল। এটা তাদের মোট রফতানি বাণিজ্যের ৬৫ শতাংশ।
আজৌর আরও বলেন, ২০১৮ সালে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম ৫৫ থেকে ৬০ মার্কিন ডলারে বিক্রি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, এ অঞ্চলে আরও বেশি রাজস্বের প্রয়োজন এবং দেশগুলো এজন্য নতুন নতুন ক্ষেত্র এতে যোগ করবে। আগামী বছর উপসাগরীয় দেশগুলোতে আরও ঋণের প্রয়োজন হবে। এক্ষেত্রে তারা সংস্কার এবং করারোপের পরিমাণ বাড়াবে বলেও জানান তিনি।
আজৌর আরও বলেন, এক্ষেত্রে সৌদি আরব এবং আরব আমিরাত এগিয়ে আছে। জিসিসিভুক্ত দেশগুলোতে পহেলা জানুয়ারি থেকে পাঁচ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর আরোপ করা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্যের ক্ষেত্রে এই পদক্ষেপ সামান্য প্রভাব ফেলবে, তবে এটা জিসিসিভুক্ত দেশগুলোর সরকারি রাজস্ব ব্যবস্থায় বৈচিত্র্য নিয়ে আসবে।