শেয়ার বিজ ডেস্ক: অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, আগামী বাজেটের আকার হবে চার লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা। রোববার পূর্ব লন্ডনের ইমপ্রেশন মিলনায়তনে আয়োজিত এক নাগরিক সংবর্ধনা সভায় অর্থমন্ত্রী এ কথা বলেন।
যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ ওই সভার আয়োজন করে। খবর প্রথম আলো।
অর্থমন্ত্রী বলেন, এ সরকারের অন্যতম লক্ষ্য ছিল বাজেট বা সরকারি ব্যয় বাড়িয়ে অভ্যন্তরীণ বাজার শক্তিশালী করা। সে কারণে ২০০৯ সালে মহাজোট সরকারের প্রথম বাজেট যেখানে ৯৫ হাজার কোটি টাকা ছিল, ২০১৬ সালে এসে তা তিন লাখ ২০ হাজার কোটি টাকায় উন্নীত হয়।
আর চলতি মেয়াদে বর্তমান সরকারের শেষ বাজেট ২০১৮-১৯ অর্থবছরে পাঁচ লাখ কোটি টাকা ছুঁবে বলে তিনি জানান।
দেশে দারিদ্র্যের হার প্রায় ২২ শতাংশে নেমে এসেছে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০২৪-২৫ সালে দেশে দারিদ্র্যের সমস্যা থাকবে না। তবে কর্মে অক্ষম সাত থেকে ১৪ শতাংশ মানুষ সব সময় সরকারের ওপর নির্ভরশীল থাকবে। এটা সব উন্নত দেশেই রয়েছে। দেশের আর্থিক সামর্থ্যরে ভিত আরও শক্তিশালী করতে সরকার দুই বিলিয়ন ডলারের সার্বভৌম
তহবিল গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানান তিনি।
অর্থমন্ত্রী আবদুল মুহিত বলেন, ‘কিছু পশ্চিমা দেশ আর গণ্যমাধ্যম মিলে আমাদের বদনাম করতে চেয়েছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণে কানাডার আদালতে প্রমাণিত হয়েছে, পদ্মা সেতু প্রকল্পে কোনো দুর্নীতি হয়নি।’
বিগত আট বছরে বাংলাদেশের অর্থনীতির নানা অগ্রগতির কথা তুলে ধরে অর্থমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য কিছু মূলনীতি নির্ধারণ করেছিল। যার অন্যতম হচ্ছে বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণ, শিক্ষার প্রসার আর দারিদ্র্য বিমোচন। প্রধানমন্ত্রী বিশ্বাস করেন, বিদ্যুৎ আর শিক্ষা সহজলভ্য করে দিতে পারলে সরকার বা কারও কিছু করতে হবে না। মানুষ নিজেরাই উন্নয়নের পথ খুঁজে নেবে। প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আগামী বছর থেকে গ্যাসের সংকটও কেটে যাবে। এরপর অন্তত ২০ বছর পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে গ্যাস পাওয়া যাবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। এতে সভাপতিত্ব করেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরীফ। সাংবাদিক ও কলামিস্ট আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর লেখা মানপত্র পাঠ করেন ব্রিটেন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সারওয়ার কবির।
যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমানের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি একেএম আবদুল মোমেন, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের শামসুদ্দিন খান, জালাল উদ্দিন ও আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী প্রমুখ।
Add Comment