শেয়ার বিজ ডেস্ক: উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা নিয়ে সৃষ্ট জটিলতার মধ্যেই চলতি বছরের নভেম্বরে এশিয়ার পাঁচটি দেশ সফর করবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ৩ নভেম্বর শুরু হওয়া তার এ সফর শেষে হবে ১৪ নভেম্বর। ১২ দিনের এ সফরে স্ত্রী মেলানিয়াকে নিয়ে ট্রাম্প যাবেন এশিয়ার শক্তিশালী রাষ্ট্র জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, চীন, ভিয়েতনাম ও ফিলিপাইনে। এ দেশগুলো সফরের সময়টাতে আলোচনায় ঘুরেফিরে থাকবে উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্রের হুমকির বিষয়টি। খবর রয়টার্স।
এদিকে উত্তর কোরিয়া সংকট নিরসনে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন বর্তমানে চীন সফরে রয়েছেন।
এশিয়া সফরে দুটি শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন ট্রাম্প। এর মধ্যে রয়েছে ভিয়েতনামে অনুষ্ঠেয় এশিয়া প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশনের (অ্যাপেক) সম্মেলন ও ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলায় অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথ-ইস্ট এশিয়ান ন্যাশনসের (আসিয়ান) বৈঠক।
ফিলিপাইনের একটি পৌর এলাকার মেয়র থেকে প্রেসিডেন্ট হওয়া রদ্রিগো দুতের্তের যুক্তরাষ্ট্রবিদ্বেষী বক্তব্যের কারণে ট্রাম্প ম্যানিলায় আসিয়ানের বৈঠকে যেতে রাজি ছিলেন না। তবে জাতিসংঘে সাধারণ অধিবেশন চলাকালে এশিয়ার কিছু নেতা ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্টের বিষয়ে নমনীয় অবস্থানে আনেন ট্রাম্পকে।
আন্তর্জাতিক হুমকি-ধমকি ও নিষেধাজ্ঞার পরও উত্তর কোরিয়া একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে। এ নিয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং-উনের মধ্যে বাগ্যুদ্ধ চরমে। কিম জং-উনকে ‘ক্ষেপণাস্ত্র-মানব’ আখ্যা দিয়েছেন ট্রাম্প। অন্যদিকে ট্রাম্প ‘মানসিক বিকারগ্রস্ত ভীমরতিতে ভোগা বুড়ো’ বলেছেন কিম। তারা দুজনই দুই দেশকে ধ্বংস করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। তবে উত্তর কোরিয়া এক ধাপ এগিয়ে এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ায়ও হামলার হুমকি দিয়েছে। ট্রাম্পের সফর নিয়ে প্রেসিডেন্টের দফতর হোয়াইট হাউজের এক বিবৃতিতে বলা হয়, উত্তর কোরিয়ার হামলার হুমকির ফলে যে সমস্যার তৈরি হয়েছে, তা সমাধানে তাদের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি করতে ট্রাম্প কাজ করবেন।
Add Comment