Print Date & Time : 17 June 2025 Tuesday 7:11 pm

আগ্রহের শীর্ষে ভ্রমণ খাত

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের পুঁজিবাজারে সব সূচক কমার মধ্য দিয়ে গতকাল বুধবারের লেনদেন শেষ হয়েছে। একই সঙ্গে লেনদেন আগের দিনের তুলনায় কমে ৩০০ কোটি টাকার নিচে নেমেছে। এদিন সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটদর অপরিবর্তিত ছিল। এছাড়া সূচকের পতনেও বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বেশি ছিল ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের শেয়ারে। ফলে এ খাতের শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। দর বৃদ্ধির দ্বিতীয় স্থানে ছিল বিমা খাতের শেয়ার। শেয়ারদর বৃদ্ধির তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে যথাক্রমে ছিল সেবা ও আবাসন এবং আইটি খাত। অন্যদিকে শেয়ার বিক্রির চাপ ছিল পাট খাতের শেয়ারে। ফলে খাতটিতে শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি কমেছে।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল ভ্রমণ খাতের শেয়ারদর বেড়েছে ১ দশমিক ৩০ শতাংশ। এদিন খাতটিতে মোট ৪টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে ২টির দর বেড়েছে এবং ২টির দর অপরিবর্তিত ছিল। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বিমা খাতে শূন্য দশমিক ৬০ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে। এদিন খাতটিতে মোট ৫৬টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে ৮টির দর বেড়েছে এবং ৩৭টির দর কমেছে ও বাকি কোম্পানির শেয়ারদর অপরিবর্তিত ছিল। শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ শেয়ারদর বেড়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে সেবা খাত। এ খাতে লেনদেন হওয়া ৪টি কোম্পানির মধ্যে ২টির দর বেড়েছে এবং ১টির কমেছে। চতুর্থ স্থানে থাকা আইটি খাতে শূন্য দশমিক ৪০ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে। এ খাতে ১১টি কোম্পানির লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ৪টির দর বেড়েছে এবং ৫টির দর কমেছে। এছাড়া টেলিকমিউনিকেশন, সিমেন্ট, মিউচুয়াল ফান্ড, ব্যাংক, প্রকোশলী, বস্ত্র, ওষুধ ও রসায়ন এবং আর্থিক খাতে শেয়ারদর বৃদ্ধির বা কমার কোনো পরিবর্তন হয়নি।

এদিকে গতকাল বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ কম থাকায় পাট খাতে শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি কমেছে। খাতটিতে শেয়ারদর কমেছে ১ শতাংশ। এরপরের স্থানে থাকা বিবিধ এবং খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে শেয়ারদর কমেছে শূন্য দশমিক ১০ শতাংশ।

অপরদিকে গতকাল লেনদেনের দিক থেকে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ওষুধ খাতে। খাতটিতে গতকাল ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৮ দশমিক ১০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। এরপর দ্বিতীয় স্থানে থাকা বিমা খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৩ দশমিক ৯০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। তৃতীয় স্থানে থাকা আইটি খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১১ দশমিক ৩০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। ১০ দশমিক ৮০ শতাংশ লেনদেন হওয়া খাদ্য খাত রয়েছে চতুর্থ স্থানে।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ডিএসইতে ২৫৭ কোটি ৬৩ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৩২৬ কোটি ৭২ লাখ টাকার শেয়ার। এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স দশমিক ৫৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ২১৮ দশমিক ৩০ পয়েন্টে। এছাড়া ডিএসই-৩০ সূচক দশমিক শূন্য ৪ পয়েন্ট এবং ডিএসইএস সূচক দশমিক ৬৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ২ হাজার ২২১ দশমিক ৭১ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ৩৫৯ দশমিক ২৪ পয়েন্টে। এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩০৮টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ৩৬টি এবং কমেছে ১২০টির। শেয়ার পরিবর্তন হয়নি ১৫২টির।

দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন হয়েছে ৪৬ কোটি ৯১ লাখ টাকার শেয়ার। আগের কার্যদিবস ২ কোটি ৮৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। এদিন সিএসইতে লেনদেন হওয়া ১২২টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে ২৪টি, কমেছে ৪৬টি এবং পরিবর্তন হয়নি ৫২টির।

এদিন সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই দশমিক ২৮ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৩৬০ দশমিক ৪৯ পয়েন্টে। সিএসসিএক্স সূচক দশমিক ২১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ৫ দশমিক ৫৯ পয়েন্টে। এছাড়া সিএসই-৫০ সূচক দশমিক ১৩ পয়েন্ট, সিএসই-৩০ সূচক দশমিক ৬৮ পয়েন্ট ও সিএসআই সূচক দশমিক শূন্য ৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১ হাজার ৩২৫ দশমিক ৫১ পয়েন্টে, ১৩ হাজার ৩০৫ দশমিক ২১ পয়েন্টে ও ১ হাজার ১৬০ দশমিক ২৬ পয়েন্টে।