ক্রীড়া প্রতিবেদক : টেস্ট ও ওয়ানডের পর টি-টোয়েন্টিতেও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দাপুটে ক্রিকেট খেলছে বাংলাদেশ। এরই মধ্যে তিন ম্যাচের সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের সিরিজে ২-০ ব্যবধানে জিতে ট্রফি নিশ্চিত করেছে টিম টাইগার্স। তারপরও যেন একটি অতৃপ্তি এখনও রয়ে গেছে স্বাগতিকদের। সেটি নিশ্চয়ই হোয়াইটওয়াশ। যে লক্ষ্য পূরণে আজ সন্ধ্যা ৬টায় টি-টোয়েন্টি সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নামবে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল।
গত পরশু দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৪৮ রানের বড় ব্যবধানে জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে দেয় বাংলাদেশ। এর আগে একমাত্র টেস্টে ইনিংস ব্যবধানে জয়ের পর ওয়ানডেতেও সফরকারীদের হোয়াইটওয়াশ করেছিল টাইগাররা। এখন টি-টোয়েন্টি সিরিজেও সফরকারীদের সে স্বাদ দিতে চাইছে স্বাগতিকরা। এজন্য আজ সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিতে আগের মতো দাপুটে খেলে জয় চাইছে রাসেল ডমিঙ্গোর শিষ্যরা। গতকাল এমনটাই জানিয়েছেন অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান, ‘টেস্ট, ওয়ানডে থেকে টি-টোয়েন্টির প্রথম ম্যাচেও যেহেতু আমরা দাপট দেখিয়েছি, ওদেরকে (জিম্বাবুয়ে) পাত্তাই দিইনি। শেষ ম্যাচটিও ওইভাবে খেলতে চাইব আমরা।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চলতি সিরিজে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানরা দেখিয়েছেন তাণ্ডব। টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের কেউ না কেউ বড় রান করছেনই। এটি আজকের ম্যাচেও ধরে রাখার প্রত্যয় সবার মধ্যে। মেহেদীও মনে করেন, ব্যাটসম্যানদের সাফল্যেই বাংলাদেশের এই দাপট, ‘ওভার কনফিডেন্ট কারও মধ্যেই দেখা যাচ্ছে না। একটি পজিটিভ বিষয় হলো, ব্যাটসম্যানরা যা-ই খেলছে, রানের মধ্যে আছে। অনেকে ব্যাটিং অর্ডারে সুযোগও পাচ্ছে না। ওয়ানডে থেকেই দেখুন, হয়তো এক থেকে পাঁচ নম্বর পর্যন্ত ব্যাটিংয়ের সুযোগ পাচ্ছে। নিচের ব্যাটসম্যানরা একটুও সুযোগ পাচ্ছে না। তারাও চাচ্ছে রান করার জন্য। ওভার অল আমরা ছোট করে দেখছি না। গোল বলে জিম্বাবুয়ে হোক বা যে কেউই, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে যে কোনো সময় মোমেন্টাম চেঞ্জ হয়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে আরও বেশি সতর্ক ও মনোযোগী হয়ে খেলা উচিত বলে মনে করি, ইনশাল্লাহ সেটাই করব।’
সাম্প্রতিকালে দারুণ খেলছে বাংলাদেশ। তাই আত্মবিশ্বাসের পারদটাও টাইগারদের বেশ ওপরে এখন। ভবিষ্যতে বড় দলের বিপক্ষে ভালো করতে যা কাজে দেবে বলে মনে করেন মেহেদী, ‘এখানে আমাদের প্রায় সবকিছু ভালো হচ্ছে; আমরাও চাচ্ছি ভালো করতে। আগেও যখন বড় দলগুলো এসেছিল, তাদের কিন্তু আমরা হোয়াইটওয়াশ করেছি। সেক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাসটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। যেহেতু এ সিরিজটিতে আমাদের আত্মবিশ্বাস অনেক বেড়ে গেছে, সেহেতু পরবর্তী সিরিজগুলোয় এতটা সমস্যা হবে না।’
জিম্বাবুয়ে সিরিজের পর আগামী মাসের শুরুতে ফের পাকিস্তান সফরে যাবে বাংলাদেশ। সেখানে তৃতীয় ধাপে টাইগাররা খেলবে একটি ওয়ানডে ও একটি টেস্ট। ঘরের মাঠে টানা জয়ে পাওয়া বাড়তি আত্মবিশ্বাস সেখানে কাজে দেবে বলছেন মেহেদী, ‘এ সিরিজটি পুরোপুরি হয়ে গেলে আমাদের আত্মবিশ্বাস আরও বেড়ে যাবে। সেক্ষেত্রে আমাদের আত্মবিশ্বাসটি পাকিস্তানে কাজে লাগবে। যেহেতু ওখানে আমাদের একটি ওয়ানডে ও টেস্ট আছে। আশা করি আত্মবিশ্বাস কাজে দেবে।’
এখন পর্যন্ত জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১২ টি-টোয়েন্টি খেলেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে ৮টিতেই জিতেছে টাইগাররা। বাকি ৪টিতে জয় জিম্বাবুয়ের। তাছাড়া ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে দু’দলের সর্বশেষ দুই সিরিজই জিতেছিল
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। যে কারণে আজকের ম্যাচ জিতে একই ফল করতে প্রত্যয়ী রাসেল ডমিঙ্গোর শিষ্যরা। এজন্য নিজেদের সর্বোচ্চ প্রস্তুতিই নিয়েছেন তামিম ইকবাল-মাহমুদউল্লাহ রিয়াদরা।
চলতি সফরে এখনও জয়ের মুখ দেখেনি জিম্বাবুয়ে। তাই সফরকারীরা চাইছে টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচটি জিতে ফিরতে। কিন্তু তাদের এ লক্ষ্য পূরণ করতে দিতে মোটেও রাজি নয় স্বাগতিকরা, যা গতকাল স্পষ্ট করেই জানিয়ে দিয়েছেন অলরাউন্ডার মেহেদী।
