‘গাহি সাম্যের গান, মানুষের চেয়ে বড় কিছু নাই, নহে কিছু মহীয়ান…।’ মানবতার জয়গানে, দ্রোহে ও প্রেমে, মানুষের মনে তিনি জাগিয়েছেন অদম্য আশার বাণী। তিনি আমাদের জাতীয় কবি এবং আধুনিক বাংলা গানের জগতে ‘বুলবুল’ নামে খ্যাত বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম। আজ তার ৪৪তম প্রয়াণবার্ষিকী। ১৯৭৬ সালের এই দিনে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদের উত্তর পাশে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় কবিকে সমাহিত করা হয়।
কাজী নজরুল ইসলাম ১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ জ্যৈষ্ঠ পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। নজরুলের ডাক নাম ছিল ‘দুখু মিয়া’। নজরুল তার সাহিত্যে তুরস্কে কামাল পাশার নেতৃত্বে প্রজাতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা, রাশিয়ায় সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব আর ভারতবর্ষে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের তরঙ্গকে বিপুলভাবে ধারণ করেছেন। এ কারণে ইংরেজ সরকার তার কয়েকটি গ্রন্থ ও পত্রিকা নিষিদ্ধ করে এবং তাকে কারাদণ্ডে দণ্ডিত করে। তিনি ছিলেন অসাম্প্রদায়িক চেতনার পথিকৃৎ। তার লেখনী জাতীয় জীবনে অসাম্প্রদায়িক চেতনা বিকাশে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে। সেই সময়ে ধর্মান্ধ মুসলমানদের তিনি পুনর্জাগরণের ডাক দিয়েছেন একজন বলিষ্ঠ নেতার মতো। কাজী নজরুল ইসলাম প্রেমের কবি, বিরহ-বেদনা ও সাম্যের কবি। তিনি সংগীতজ্ঞ, ঔপন্যাসিক, গল্পকার, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক, সাংবাদিক, চলচ্চিত্রকার, গায়ক ও অভিনেতা। বাংলা সাহিত্য-সংগীত তথা সংস্কৃতির অন্যতম প্রধান পুরুষ। নজরুল রচিত গানের সংখ্যা প্রায় দ্বিসহস্রাধিক। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে তার লেখনী ধূমকেতুর মতো আঘাত হেনে জাগিয়ে দিয়েছিল ভারতবাসীকে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে তার গান ও কবিতা ছিল প্রেরণার উৎস। তার কবিতা ‘চ্ল চল্ চল’ বাংলাদেশের রণসংগীত। তার কবিতা ও গান মানুষকে যুগে যুগে শোষণ ও বঞ্চনা থেকে মুক্তির পথ দেখিয়ে চলছে।
আজকের দিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনাবলি
# ১৭৩৬ সম্রাট জাহাঙ্গীর মৃত্যুবরণ করেন
# ১৯৭১ লন্ডনে বাংলাদেশ মিশন উদ্বোধন করা হয়
# ১৯৭৫ বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ওমান
# ১৯৮৮ প্রবল বন্যায় বাংলাদেশে শতাধিক প্রাণহানি ঘটে