উপমহাদেশের ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম ব্যক্তিত্ব ও অগ্নিযুগের বিপ্লবী নলিনী দাস ১৯১০ সালের ১ জানুয়ারি ভোলা জেলার উত্তর শাহবাজপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি কিশোর বয়সেই বিপ্লবী সংগঠন অনুশীলন, যুগান্তর প্রভৃতির সঙ্গে যুক্ত হন। ১৯২৯ সালে তিনি মেছুয়াবাজার বোমা হামলায় অংশগ্রহণ করেন, কিন্তু তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলার তথ্য-প্রমাণ না পাওয়ায় ব্রিটিশ সরকার তাকে আন্দামান সেলুলার জেলে পাঠিয়ে দেয়। ২৩ বছর তিনি সেই জেলে আটক ছিলেন। ১৯৪৬ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর নলিনী দাস মুক্তি পান। দেশে ফিরে তিনি কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য হয়ে কৃষক সমিতিকে গড়ে তোলার কাজে আত্মনিয়োগ করেন। পাকিস্তান আমলটাই তার কেটেছে জেলে আর আত্মগোপনে। ১৯৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। ১৯৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানে তিনি বৃহত্তর বরিশালের ছাত্র-যুবকদের সংগঠিত করে তুমুল আন্দোলন গড়ে তোলেন। ১৯৭০ সালে স্বরূপকাঠির ব্যাসকাঠির কৃষক সম্মেলনে কৃষকদের সংগঠিত করার ক্ষেত্রে তিনি ভূমিকা রাখেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় বৃহত্তর বরিশালের অন্যতম সংগঠক ছিলেন তিনি। স্বাধীন বাংলাদেশে নলিনী দাস বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির অগ্রসেনানী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বিপ্লবী নলিনী দাস তার সব সম্পদ ট্রাস্টিকে দান করে দিয়েছেন। তার রচিত ‘স্বাধীনতা সংগ্রামে দ্বীপান্তরের বন্দী’ গ্রন্থে তার দীর্ঘ ২৩ বছরের কারাবাস ও ২০-২১ বছরের পলাতক জীবনের রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতার কিছু পরিচয় পাওয়া যায়। ১৯৮২ সালের এই দিনে (১৯ জুন) তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
আজকের দিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনাবলি
#১৮৬২ যুক্তরাষ্ট্রে দাসপ্রথা বিলুপ্ত হয়
#১৯১৯ কবি অক্ষয়কুমার বড়াল মৃত্যুবরণ করেন
#১৯৬৪ যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী এবং লন্ডনের সাবেক মেয়র বরিস জনসন জন্মগ্রহণ করেন
#১৯৬৮ আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার (রাষ্ট্র বনাম শেখ মুজিব ও অন্যান্য) শুনানি শুরু হয়
#১৯৭০ ভারতের রাজনৈতিক নেতা রাহুল গান্ধী জন্মগ্রহণ করেন
#১৯৯৬ সাতক্ষীরা জেলার সাবেক এমএলএ মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক স ম আলাউদ্দীন নিহত হন