উচ্চফলনশীল হরিধানের আবিষ্কারক হরিপদ কাপালী। ১৯৯৬ সালে তিনি আবিষ্কার করেন এই নতুন প্রজাতির এক ধান। এ আবিষ্কারের সূত্র ধরে তিনি এখন দেশে-বিদেশেও একটি পরিচিত নাম। পেয়েছেন জাতীয় পুরস্কার ও সম্মাননা। বাংলাদেশে চাষযোগ্য জমির পরিমাণ কমে গেলেও খাদ্য উৎপাদন তিনগুণেরও বেশি বেড়েছে। এর কৃতিত্ব উচ্চফলনশীল হরিধানের আবিষ্কারক হরিপদ কাপালীর।
হরিপদ কাপালী ১৯২২ সালের এই দিনে ঝিনাইদহের সদর উপজেলার এনায়েতপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। নিজের ইরি ধানক্ষেতে একটি ব্যতিক্রমধর্মী ধান গাছ দেখে হরিপদ কাপালী সে ধানটিকে আলাদা করে রাখেন। পরবর্তী সময়ে ওই গোছাকে তিনি আলাদা করে লালন-পালন করলেন। পরের বছর সেই গোছার ধান দিয়ে একটুখানি জায়গায় বীজতলা আর সেই চারা লাগালেন খানিক জায়গায়। ফলনের পর দেখা গেল মোট জমির বিআর-১১ ধানের চেয়ে এ ধানের ফলন বেশি। পরেরবারও নিজের জমিতে কেবল নতুন ওই ধানের চাষই করেন তিনি। আর পেয়ে যান বিআর-১১ কিংবা স্বর্ণার চেয়ে উচ্চফলনশীল ধান। এরপর বীজ সংগ্রহ করে ১৯৯৮ সালে নিজের ক্ষেতে এ ধান আবাদ করেন। ২০০০ সালের দিকে ঝিনাইদহসহ দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোয় এই উচ্চফলনশীল ধানের আবাদ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। ধানটি নিয়ে দৈনিক পত্রিকা ও পরে টেলিভিশনের সচিত্র প্রতিবেদন প্রচার হলে বিষয়টি সারা দেশে আলোচিত হয়। ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট পরীক্ষা করে বিশেষ ধরনের এই জাতের ধান চাষের ওপর ছাড়পত্র দেয়। নবম ও দশম শ্রেণির কৃষি শিক্ষা বইতে হরিপদ কাপালীর কথা অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ২০১৭ সালের ৬ জুলাই তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
আজকের দিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনাবলি
# ১৮৮৫ বিখ্যাত ফরাসি চিকিৎসক ও বিজ্ঞানী লুই পাস্তুর রোগ প্রতিরোধক টিকা আবিষ্কার করেন
# ১৮৯৩ একজন বিখ্যাত ফরাসি কবি গল্পকার ও ঔপন্যাসিক গি দ্য মোপাসাঁ মৃত্যুবরণ করেন
# ১৯৫৩ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়
# ১৯৬৭ নাইজেরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হয়
# ১৯৭৯ মিসরে নীলনদের তীরে গুহায় ফেরাউন দ্বিতীয় রেমেসিসের মমি আবিষ্কৃত হয়