আজকের দিনে

বীর মুক্তিযোদ্ধা, চলচ্চিত্রকার, প্রযোজক, পরিচালক আলমগীর কুমকুমের দ্বাদশ মৃত্যুবার্ষিকী আজ। বাংলার ইতিহাস-ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার সমষপুর গ্রামে ১৯৪২ সালের ২২ জানুয়ারি তার জš§। স্বাধীনতার আগে এদেশে যেসব ছাত্রনেতা রাজপথ কাঁপিয়েছেন, দেশের স্বাধীনতার জন্য বুক পেতে নিয়েছেন নিষ্ঠুর শাসকের অমানবিক অন্যায়-অবিচার; তাদের অন্যতম একজন তিনি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে ছাত্রলীগের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ১৯৬৬ সালের ছয় দফা আন্দোলন এবং ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। সত্তরের নির্বাচনেও ছিলেন সক্রিয়। একাত্তরে অস্ত্র হাতে নেমে পড়েছিলেন যুদ্ধেও। রাজনীতির পাশাপাশি নিজেকে জড়িয়ে নিয়েছিলেন চলচ্চিত্রেও। সেই ১৯৬৮ সাল থেকেই চলচ্চিত্র পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত হন। পরবর্তী সময় তার হাত ধরে ঢাকাই সিনেমায় যুক্ত হয়েছে বহু কালজয়ী ও ব্যবসা সফল সিনেমা। বাংলাদেশের নন্দিত অভিনেতা আলমগীরের আবিষ্কারক হিসেবেও তার নাম সর্বজন শ্রদ্ধেয়। আলমগীর কুমকুম ১৯৬৮ সালে মামা পরিচালক ইআর খানের ‘চেনা অচেনা’ ছবির সহকারী হিসেবে চলচ্চিত্রে আসেন তিনি। এরপর ‘রূপবানের রূপকথা’ ও ‘মধুবালা’য় সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করেন। ১৯৬৯ সালে মুক্তি পায় তার পরিচালিত প্রথম ‘ছবি পদ্মা নদীর মাঝি’। আলমগীর কুমকুম পরিচালিত চলচ্চিত্রের সংখ্যা প্রায় ৪০টি। তিনি চিত্রনায়ক আলমগীরকে নায়ক হিসেবে চলচ্চিত্রে নিয়ে আসেন। আলমগীর কুমকুমের ছবির তালিকায় উল্লেখযোগ্য ‘স্মৃতিটুকু থাক’, ‘আমার জš§ভূমি’, ‘গুণ্ডা’, ‘মমতা’, ‘আগুনের আলো’, ‘কাপুরুষ’, ‘সোনার চেয়ে দামি’, ‘রাজবন্দি’, ‘ভালোবাসা’, ‘রাজার রাজা’, ‘কাবিন’, ‘শমসের’, ‘রকি’, ‘মায়ের দোয়া’, ‘অমর সঙ্গী’। আলমগীর কুমকুম নির্মিত সর্বশেষ ছায়াছবি ‘জীবন চাবি’। রাজনীতির সুন্দর চর্চা তিনি আজীবন করে গেছেন। একজন দক্ষ সংগঠক হিসেবে তিনি সমাদৃত ছিলেন রাজনীতি ও চলচ্চিত্রের আঙিনায়। তার প্রমাণ মিলে যখন আলমগীর কুমকুমের নাম উচ্চারিত হয় বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট ও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির  প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে। তিনি ২০১২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন। [সংগৃহীত]

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০