Print Date & Time : 22 June 2025 Sunday 5:53 pm

আজকের দিনে

 

শিক্ষাবিদ, কবি, কথাশিল্পী, প্রাবন্ধিক, শিশুসাহিত্যিক, গবেষক, সাহিত্য-সমালোচক আলাউদ্দিন আল আজাদের জন্ম ৬ মে ১৯৩২ সালে, নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার রামনগর গ্রামে। পিতা গাজী আব্দুস সোবহান। আলাউদ্দিন আল আজাদ নারায়ণপুর শরাফতউল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে প্রবেশিকা (১৯৪৭), ঢাকা ইন্টারমিডিয়েট কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক (১৯৪৯), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে অনার্সসহ স্নাতক (১৯৫৩) ও স্নাতকোত্তর (১৯৫৪) এবং লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের জীবন ও কবিতা বিষয়ে গবেষণা করে পিএইচডি ডিগ্রি (১৯৭০) লাভ করেন। পরে তিনি অরগান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তুলনামূলক সাহিত্যে উচ্চ প্রশিক্ষণও (১৯৮৩) গ্রহণ করেন। আলাউদ্দিন আল আজাদ অধ্যয়নকালে ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ঢাকা ইন্টারমিডিয়েট কলেজ ছাত্র সংসদের সাহিত্য সম্পাদক ও বার্ষিকী সম্পাদকের দায়িত্ব (১৯৪৭-৪৯) পালন করেন। ছাত্রাবস্থায় আলাউদ্দিন আল আজাদ সংবাদপত্রে খণ্ডকালীন চাকরি করেন। অধ্যয়ন শেষে তিনি নারায়ণগঞ্জের তোলারাম কলেজ (১৯৫৫), ঢাকা জগন্নাথ কলেজ (১৯৫৬-৬১), সিলেট এমসি কলেজ (১৯৬২-৬৮) এবং চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ (১৯৬৪-৬৭)-এ অধ্যাপনা করেন। এছাড়া তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নজরুল প্রফেসর ও নজরুল গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালকের দায়িত্ব (১৯৯০-৯২) পালন করেন। বিশ শতকের পঞ্চাশের দশকে সাহিত্যক্ষেত্রে তার আবির্ভাব। নগরজীবনের কৃত্রিমতা, রাজনীতিক সংগ্রাম, নিপীড়ন, প্রতারণা তিনি তার কথাসাহিত্যের বিষয়বস্তু করেছেন। এ পর্যায়ের তার উল্লেখযোগ্য গল্পগ্রন্থ জেগে আছি (১৯৫০), ধানকন্যা (১৯৫১), জীবন জমিন (১৯৮৮) প্রভৃতি। আলাউদ্দিন আল আজাদের কাবগ্রন্থগুলোর মধ্যে মানচিত্র (১৯৬১), ভোরের নদীর মোহনায় জাগরণ (১৯৬২), লেলিহান পাণ্ডলিপি (১৯৭৫), নিখোঁজ সনেটগুচ্ছ (১৯৮৩) সাজঘর (১৯৯০) ও শ্রেষ্ঠ কবিতা (১৯৮৭) বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য আলাউদ্দিন আল আজাদ বেশসংখ্যক পুরস্কারে ভূষিত হন। তার মধ্যে বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৬৪), ইউনেস্কো পুরস্কার (১৯৬৪), জাতীয় চলচিত্র পুরস্কার (১৯৭১), একুশে পদক (১৯৮৬), দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ স্বর্ণপদক (১৯৯৪) উল্লেখযোগ্য। তার মৃত্যু ঢাকায়, ৩ জুলাই ২০০৯। [সংগৃহীত]