দেশের খ্যাতনামা ব্যবসায়ী ও শিল্পোদ্যোক্তা আবদুল মোনেমের আজ তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী। তিনি শিল্পগোষ্ঠী আবদুল মোনেম লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা। বর্তমানে এর অধীনে এক ডজনেরও বেশি প্রতিষ্ঠান আছে। ১৯৩৭ সালের ৫ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজেশ্বর গ্রামে আবদুল মোনেম জš§গ্রহণ করেন। মাত্র তিন মাস বয়সে বাবাকে হারিয়েছিলেন আবদুল মোনেম। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নিভৃত এক গ্রামে প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করে বড় হয়েছেন। তিনি বাংলাদেশের উন্নয়নে নতুনমাত্রা দেয়ার কথা ভেবেছেন। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দেয়ার আগে মাত্র ৭০ টাকা পকেটে নিয়ে ঢাকায় এসেছিলেন। ঢাকায় এসে সরকারের সার্ভে পদে পরীক্ষা দেন আবদুল মোনেম। পরীক্ষায় তিনি প্রথম স্থান অধিকার করেন। চাকরি নেন। কিন্তু চাকরিতে তার মন টেকেনি। স্বপ্ন ছিল আরও বড়। তার একমাত্র লক্ষ্য ছিল ব্যবসা করা। দক্ষতা ও সততা দিয়ে গড়ে তুলেছেন সুবিশাল সাম্রাজ্য। নির্মাণ আর অবকাঠামো দিয়ে ব্যবসা শুরু করে আবদুল মোনেম গ্রুপ। এ গ্রুপের কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছেÑআইসক্রিম, ম্যাঙ্গো পাল্প প্রসেসিং, ফুডস, ইমালসন, ইগলু ডেইরি, সুগার রিফাইনারি, এনার্জি, ফার্মাসিউটিক্যাল প্রভৃতি। আবদুল মোনেমের শেষ স্বপ্ন ছিল বেসরকারি ইকোনমিক জোন। যেখানে অন্তত কোটি লোকের কাজের সুযোগ থাকবে। ‘আবদুল মোনেম অর্থনৈতিক অঞ্চল’ কাজ শুরু করে ২০১৫ সালে। ক্রীড়ামোদি আবদুল মোনেম বাংলাদেশে ফুটবলের জোয়ারের সময় ঢাকার মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন তিনি। ১৯৮৪ থেকে ১৯৯৪-৯৫ মৌসুম পর্যন্ত এ ক্লাবের সভাপতি ছিলেন মোনেম। তার সময়ে ফুটবল লিগে ১৯৮৬, ১৯৮৭ ও ১৯৮৮ সালে হ্যাটট্রিক শিরোপা জেতে ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি। ব্যবসায়ের পাশাপাশি আবদুল মোনেম সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে সমাজের বিপদগ্রস্ত ও অসহায় মানুষের শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা প্রদানের লক্ষ্যে গড়ে তোলেন আবদুল মোনেম ফাউন্ডেশন। এ ফাউন্ডেশন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আবদুল মোনেমের নিজ গ্রাম বিজেশ্বরে প্রায় ৫২ একর জমি দান করে। সেখানে গড়ে তোলা হয়েছে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাসহ বেশ কয়েকটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। এ ছাড়া এই ফাউন্ডেশন একটি এতিমখানা পরিচালনা ও সব খরচ বহন করে। এখানে প্রায় তিন হাজার এতিম পড়াশোনা করে। দেশে বন্যা বা অন্য কোনো ধরনের বিপর্যয়ের সময় এ ফাউন্ডেশন ত্রাণ বিতরণ ও অন্যান্য সহযোগিতা প্রদান করে থাকে। আবদুল মোনেম ব্যবসায়ী হিসাবে অবদানের জন্য নানা পুরস্কার অর্জন করেন। এর মধ্যে রাষ্ট্রপতি শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার, ২০১৪, বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বা সিআইপি (শিল্প) ২০১৩ ও ২০১৬, বিজনেস পারসন অব দ্য ইয়ার ২০০৮, বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য। ২০২০ সালের ৩১ মে তিনি ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। [সংগৃহীত]
আজকের দিনে

আরো খবর ➔
সর্বশেষ
আর্কাইভ

রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র | শনি |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | ৫ | ৬ | ৭ |
৮ | ৯ | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ |
১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ |
২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ |
২৯ | ৩০ |