Print Date & Time : 22 June 2025 Sunday 1:37 am

আজকের দিনে

জনপ্রিয় বাঙালি কথাশিল্পী, ঔপন্যাসিক আকবর হোসেনের মৃত্যুদিবস আজ। আকবর হোসেনের জš§ ১৯১৭ সালের ১ অক্টোবর কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার গড়াইতীরবর্তী কয়া গ্রামে। তার বাবা হাজী আবদুল বিশ্বাস ও মা ময়জান নেছা। মাধ্যমিক পর্যায়ে পড়াশোনার সময় থেকেই সাহিত্যচর্চা করতেন আকবর হোসেন। শিক্ষাজীবনের অবসান ঘটিয়ে পুরোদমে সাহিত্যচর্চা শুরু করেন তিনি। তার ভাষার সাবলীলতা, কাব্যময়তা, গতিময়তা ও শৈল্পিক সন্নিবেশ উপন্যাসগুলোকে জনপ্রিয় করেছে। অথচ পঞ্চাশ ও ষাটের দশকের পাঠকমনে কাঁপন ধরিয়ে দেয়া কীর্তিমান এই ঔপন্যাসিক আজও এদেশ অবমূল্যায়িত রয়ে গেছেন। তার জীবনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা ধরা হয় কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গে সাক্ষাৎ। বলা হয়ে থাকে, কবিগুরুর সাক্ষাৎ-স্মৃতি তার লেখকসত্তাকে পরিপক্ব করে তুলতে সাহায্য করেছিল। সংস্কৃতির রাজধানী-খ্যাত কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালীর মাটি ও মানুষ শিল্প-সাহিত্য, সংস্কৃতিচর্চার ক্ষেত্রে সব সময় গৌরবময় ভূমিকা রেখে আসছেন। এই কুমারখালীরই কৃতী পুরুষ আকবর হোসেন। দেশের শিল্প-সাহিত্য ও সংস্কৃতির ইতিহাসে অত্যন্ত মর্যাদার সঙ্গে বিচরণ করেছেন তিনি। কুমারখালীর আরও এক অলংকার নজিবর রহমান সাহিত্যরত্নের পরে পঞ্চাশ ও ষাটের দশকে আকবর হোসেনই সবচেয়ে জনপ্রিয় ঔপন্যাসিক ছিলেন। ছাত্রাবস্থায়ই আকবর হোসেন লেখালেখি শুরু করেন। তার সাহিত্যচর্চা শুরু হয়েছিল কবিতার মাধ্যমে। কিন্তু পরবর্তী সময়ে কথাশিল্পী হিসেবেই তিনি পরিচিত হন। সন্ধানী, শিক্ষা, দৈনিক আজাদ, নবযুগসহ বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় লেখা প্রকাশের ভেতর দিয়ে তার সাহিত্য প্রতিভার উšে§ষ ঘটে। তার প্রথম উপন্যাস ‘অবাঞ্ছিত’ প্রকাশিত হয় ১৯৫০ সালে, যা অল্প সময়ে পাঠকপ্রিয়তা লাভ করে। তার প্রথম উপন্যাস ‘অবাঞ্ছিত’ একসময় প্রায় ঘরে ঘরে পঠিত হতো। ১৯৬৯ সালে জুপিটার ফিল্মস কামাল আহমেদের পরিচালনায় এটিকে চলচ্চিত্রে রূপ দেয়, যা সারাদেশে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। আকবর হোসেনের লেখা জনপ্রিয় কয়েকটি বই হলোÑকী পাইনি, মোহমুক্তি, ঢেউ জাগে, আলোছায়া, দুদিনের খেলাঘরে, মেঘ-বিজলী-বাদল, নতুন পৃথিবী, দুষ্টক্ষত এবং আভা ও তার প্রথম পুরুষ। ১৯৮১ সালের ২ জুন তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তার রচিত ‘মেঘ বিজলী বাদল’ উপন্যাস নিয়ে ১৯৮২ সালে চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন কাজী নূরুল হক। [সংগৃহীত]