আজকের দিনে

মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক স্বাধীনতার নিউক্লিয়াস সিরাজুল আলম খান। কেউ তাকে বলা হয় রাজনীতির রহস্যমানব। অবিসংবাদিত যে, মুক্তিযুদ্ধের সর্বজনীন নেতা ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার সবচেয়ে আস্থাভাজন শিষ্য হলেন সিরাজুল আলম খান। ভক্ত-অনুসারীরা শেখ মুজিবকে বলতেন বঙ্গবন্ধু আর সিরাজুল আলম খানকে বলতেন সিরাজ ভাই। স্বাধীনতার পর তিনি কলকাতা থেকে ফিরে এলেন। তখন অনেকেই লক্ষ করলেন, অনেকেই তাকে (সিরাজুল আলম খান) ‘দাদা’ বলতে শুরু করেছে।  সেই  থেকে ‘দাদা ভাই’ তার নামের অংশ হয়ে গেছে। ১৯৪১ সালের ৬ জানুয়ারি নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার আলীপুর গ্রামে জšে§ছিলেন সিরাজুল আলম খান। তার বাবা খোরশেদ আলম খান ছিলেন স্কুল পরিদর্শক। মা সৈয়দা জাকিয়া খাতুন গৃহিণী। ছয় ভাই ও তিন বোনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। ১৯৫৬ সালে খুলনা জিলা স্কুল থেকে প্রথম বিভাগে এসএসসি ও ১৯৫৮ সালে ঢাকা কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন সিরাজুল আলম খান। তারপর ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণিত বিভাগে। গণিতে স্নাতক ডিগ্রি নেয়ার পর তাকে ঢাবি থেকে বহিষ্কার করা হয় ‘কনভোকেশন মুভমেন্টে’ অংশগ্রহণ করার কারণে। থাকতেন ফজলুল হক হলে। প্রতিদিন রাত করে হলে ফিরতেন। ফলে হল থেকেও একবার বহিষ্কৃত হন। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করায় তার পক্ষে মাস্টার্স করা সম্ভব হয়নি। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরপরই বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে শেখ ফজলুল হক মনির সঙ্গে বিরোধের জের ধরে ছাত্রলীগ ভেঙে দুই ভাগ হয়। এরপর ১৯৭২ সালে সিরাজুল আলম খানের উদ্যোগে রাজনৈতিক দল জাসদ (জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল) প্রতিষ্ঠা হয়। তিনি কখনও মূল নেতৃত্বে না এলেও জাসদ নেতাদের ‘তাত্ত্বিক গুরু’ হিসেবে পরিচিত। সিরাজুল আলম খান বিভিন্ন সময় প্রায় ৭ বছর কারাভোগ করেন। ব্যক্তিগত জীবনে সিরাজুল আলম খান অবিবাহিত। ৯ জুন ২০২৩ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি। [সংগৃহীত]

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০