নিজস্ব প্রতিবেদক: আজিয়াটা গ্রুপ বারহাদ থেকে শেয়ারহোল্ডার ঋণ সুবিধা গ্রহণের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত টেলিযোগাযোগ খাতের প্রতিষ্ঠান রবি আজিয়াটা লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, শেয়ারহোল্ডার ঋণ সুবিধা গ্রহণের প্রস্তাব অনুযায়ী আজিয়াটা গ্রুপ বারহাদ থেকে সাড়ে পাঁচ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ নেবে রবি আজিয়াটা লিমিটেড, বাংলাদেশি টাকায় যার পরিমাণ প্রায় ৫৯৮ কোটি টাকা (প্রতি ডলার সমান ১০৮ টাকা ৭৩ পয়সা হিসাবে)। শেয়ারহোল্ডার থেকে এই ঋণ গ্রহণ প্রস্তাব অনুমোদন করেছে রবির পরিচালনা পর্ষদ।
তিন বছর মেয়াদের এই ঋণ নেয়ার জন্য আজিয়াটা গ্রুপ বারহাদকে নিরাপত্তা হিসেবে কোনো সম্পদও জামানত হিসেবে দেয়া লাগবে না। এ ছাড়াও এই ঋণ চুক্তির ক্ষেত্রে যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তরকে (আরজেএসসি) কোনো চার্জ দিতে হবে না। মূলত রবি আজিয়াটার মূল শেয়ারহোল্ডার হচ্ছে আজিয়াটা গ্রুপ বারহাদ। বর্তমানে রবির প্রায় ৬২ শতাংশ শেয়ার রয়েছে আজিয়াটা গ্রুপের কাছে।
চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২৩) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৮ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৮ পয়সা। অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি আয় তথা ইপিএস অপরিবর্তিত রয়েছে। এদিকে ২০২৩ সালের ৩১ মার্চে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১২ টাকা ৯০ পয়সা, যা ২০২২ সালের ৩১ মার্চে ছিল ১২ টাকা ৭২ পয়সা। আর এ প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ৮৩ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ১ টাকা ৬১ পয়সা ছিল।
কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ৭ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩৫ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১২ টাকা ৮২ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৭ টাকা ১২ পয়সা। এর আগে ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩৪ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১২ টাকা ৬৪ পয়সা। আর এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৬ টাকা ২২ পয়সা।
এদিকে গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর অপরিবর্তিত থেকে প্রতিটি সর্বশেষ ৩০ টাকায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। গত এক বছরের মধ্যে শেয়ারদর ২৯ টাকা থেকে ৩৩ টাকা ১০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে। দিনজুড়ে কোম্পানিটির ৪ হাজার ৭৮৪টি শেয়ার মোট ২৩ বার লেনদেন হয়, যার বাজারদর এক লাখ ৪০ হাজার টাকা।
কোম্পানিটি ২০২০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে লেনদেন হচ্ছে। ছয় হাজার কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৫ হাজার ২৩৭ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ এক হাজার ৪৬০ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ৫২৩ কোটি ৭৯ লাখ ৩২ হাজার ৮৯৫ শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৯০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে এক দশমিক ৬৬ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে আট দশমিক ৩৪ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।