ক্রীড়া ডেস্ক: প্রথম ম্যাচ জিতে হারানো আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু এখনও আসল অর্জন বাকি টাইগারদের। পরের দুই ম্যাচের একটা জিতলেই যে ওয়ানডে সিরিজের ট্রফি নিজেদের করে নেবে মাশরাফি বিন মুর্তজার দল। তবে সেই সুযোগের জন্য নিজেদের বেশি অপেক্ষায় রাখতে চাইছেন না সাকিব আল হাসান-মুশফিকুর রহিমরা। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখে আজই সিরিজ জয় নিশ্চিত করতে চাইছেন তারা। সে লক্ষ্য নিয়েই বাংলাদেশ সময় রাত ১২টায় গায়েনার প্রভিন্স স্টেডিয়ামে নামছে সফরকারীরা।
টেস্ট সিরিজে ব্যর্থ হওয়ার পর অনেক সমালোচনায় শুনতে হয়েছিল টাইগারদের। কিন্তু একটি জয়ই আবার তাদের আগের জায়গায় নিয়ে গেছে। যে কারণে বেড়েছে আত্মবিশ্বাস। সেটাতে বলিয়ান হয়ে আজ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামতে যাচ্ছে মাশরাফির দল।
নিজ পরিকল্পনার ওপর বাংলাদেশ এখন এতই আস্থাবান যে, দ্বিতীয় ম্যাচের একাদশে কোনো পরিবর্তন আনার চিন্তায় করছে না টিম ম্যানেজমেন্ট। যে কারণে প্রথম ম্যাচে ব্যর্থ হওয়া ওপেনার এনামুল হক বিজয় ও মিডল অর্ডারে সাব্বির রহমান সিরিজে নিজেদের আরেকবার প্রমাণ করার সুযোগ পাচ্ছেন। সেই একই ভেন্যুতে খেলা হচ্ছে দেখে বাংলাদেশও তাদের আগের ম্যাচ পরিকল্পনাতেই স্থির থাকছে। মাত্র তিন দিনের ব্যবধানে নিশ্চয় গায়ানার উইকেটের গুণাগুণ বদলে যাবে না। আর তাই সে বিবেচনাবোধ থেকেই বাংলাদেশ এ ম্যাচেও একই একাদশ, একই পরিকল্পনা, একই ম্যাচ মেজাজ নিয়েই নামার সিদ্ধান্তে আপাত স্থির।
চলতি ওয়ানডে সিরিজের আগে কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজই ফেবারিট ছিল। কিন্তু এখন সেই দলটিই পড়েছে সিরিজ হারের শঙ্কায়। ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য ক্ষমতা অবশ্য রাখেন ক্রিস গেইলরা। তবে সে সুযোগটা কোনোভাবেই হাতছাড়া করতে চায় না বাংলাদেশ। এ ব্যাপারে মুশফিকুর রহিম বলেন, ‘যেভাবে প্রথম ম্যাচ খেলেছি, আশা করছি সে ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারব। পরের ম্যাচটা এখানে জিততে চাই সঙ্গে সিরিজও’
এদিকে মাশরাফি বিন মুর্তজা বলেছেন, প্রথম ওয়ানডেতে যে ক্রিকেট হয়েছে, তাতে আমাদের সঙ্গে ওদের পারার কথা নয়। অবশ্য খেলাটা ক্রিকেট। যে কোনো কিছু হতে পারে। তবে আমরা ছাড়ব না।
প্রথম ম্যাচটি হয়েছিল দিনের আলোয়। কিন্তু আজকের ম্যাচটি হবে ফ্লাডলাইটের আলোয়। যে কারণে বোলিং লাইনআপে কিছুটা অদল-বদল হতে পারে। প্রথম ম্যাচে মোস্তাফিজকে আক্রমণে আনা হয়েছিল ২১ নম্বর ওভারে। আজ হয়তো তাকে আরও একটু আগে দেখা যেতে পারে তাকে। অবশ্য সেটা নির্ভর করছে শুরুর স্পেলে বাংলাদেশের বোলিং কেমন হয়-তার ওপর।
গায়ানায় সিরিজে প্রথম ম্যাচের ব্যাটিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে কখনও চ্যালেঞ্জিং মনে হয়নি। এমনকি মনেও হয়নি এ ম্যাচ তারা জিততে পারে। তবে পরের ম্যাচেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের সে ভঙ্গুর ব্যাটিং চেহারার চিত্র মিলবে এমন কোনো সমাধান এখনই কষে ফেললে ঠকতে হতে পারে।
ক্রিস গেইল, এভিন লুইস, আন্দ্রে রাসেল, জেমন মোহাম্মদ, রোভম্যান পাওয়েলরা প্রতিদিন ব্যর্থ হওয়ার মতো ক্রিকেটার কিন্তু নন! এ বাস্তবতা মানছে বাংলাদেশও। তাই সিরিজ জয়ের আত্মতুষ্টিতে আগেই ভুগছেন না মাশরাফিরা। বরং বাড়তি সতর্ক হয়েই গায়ানায় নামছেন তারা।