আজ থেকে চট্টগ্রামে মাসব্যাপী বাণিজ্যমেলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম: আজ রোববার চট্টগ্রাম মহানগরীর পোলো গ্রাউন্ড মাঠে মাসব্যাপী আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা ২০১৭ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে। বেলা ১১টায় বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ মেলার উদ্বোধন করবেন। গতকাল শনিবার দুপুরে আগ্রাবাদের চেম্বার কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন চেম্বারের সহ-সভাপতি নুরুন নেওয়াজ সেলিম। এ সময় চেম্বারের মাহবুবুল আলমসহ অন্যান্য পরিচালক উপস্থিত ছিলেন।
আয়োজক কমিটি সূত্রে জানা যায়, উদ্বোধন অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বিশেষ অতিথি থাকবেন। এছাড়া এফবিসিসিআই’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিনসহ দেশের বিভিন্ন খাতের ব্যবসায়ীরা উপস্থিত থাকবেন।
নুরুন নেওয়াজ সেলিম বলেন, সিসিসিআই দেশীয় শিল্পের দ্রুত প্রসার ও সুরক্ষা, নীতিগত সমর্থন প্রদানে সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলকে নীতিনির্ধারণে সহযোগিতা করে যাচ্ছে। ব্যবসায়ীদের চাহিদা অনুযায়ী সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করে উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা, যৌক্তিক শুল্কহার নির্ধারণ, শিল্পায়নের গতি ত্বরান্বিত ও উৎপাদিত পণ্যের বিপণন, প্রচার-প্রসারে সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টি করতে কাজ করে যাচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে পঁচিশবারের মতো এমন মেলার আয়োজন।
তিনি বলেন, জিডিপির পরিমাণ, রফতানি, রেমিট্যান্স বৃদ্ধিতে বেসরকারি খাতের অবদান দেশ-বিদেশে সমাদৃত। বাংলাদেশকে নি¤œ মধ্যম আয়ের দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতে রফতানি বাড়ানোর পাশাপাশি আমদানি নির্ভরতা কমাতে হবে। তিনি আরও বলেন, মেলায় দর্শনার্থীরা সুলভ মূল্যে পণ্য কেনার সুযোগ পাবেন। ফলে বিদেশি পণ্যের পরিবর্তে দেশীয় পণ্যের অভ্যন্তরীণ বাজার সম্প্রসারিত হবে।
সংবাদ সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্যে চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, আজ থেকে ২৪ বছর আগে এমএ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন আউটার স্টেডিয়ামে ছোট্ট পরিসরে বাণিজ্যমেলা শুরু হয়েছিল। সে মেলায় এখন প্রতিদিন লক্ষাধিক মানুষ আসে। মেলা থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে অপেক্ষা করেন চট্টগ্রামের মানুষ। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে চেম্বারের অনেক কর্মকাণ্ডের মধ্যে বাণিজ্যমেলা অন্যতম উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশে দুটি বড় বাণিজ্যমেলা হয়। সরকারিভাবে ঢাকায় বাণিজ্যমেলা অনুষ্ঠিত হলেও বেসরকারিভাবে সবচেয়ে বড় বাণিজ্যমেলার আয়োজন করে চট্টগ্রাম চেম্বার। মেলায় দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। বাংলাদেশে এসএমই খাতের বিকাশের লক্ষ্যেই মূলত মেলার আয়োজন। বিগত সময়ের তুলনায় দেরিতে মেলা শুরুর বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে মেলা আয়োজনে একটি স্থায়ী ভেন্যুর দাবি করে আসছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত সেটা হয়ে ওঠেনি।
মেলার আহ্বায়ক জানান, চার লাখ বর্গফুটের অধিক জায়গাজুড়ে আয়োজিত মেলায় এবার ১৬টি প্রিমিয়ার গোল্ড প্যাভিলিয়ন, ৪টি মিনি মেগা প্যাভিলিয়ন, ৫টি প্রিমিয়ার প্যাভিলিয়ন, ১০টি স্ট্যান্ডার্ড প্যাভিলিয়ন, ১৭২টি প্রিমিয়ার মেগা বুথ, ২২টি মেগা বুথ, ১০টি প্রিমিয়ার গোল্ড বুথ, ১৬টি প্রিমিয়ার বুথ, ১৪টি স্ট্যান্ডার্ড বুথ, তিনটি রেস্টুরেন্টসহ ৩৫টি প্যাভিলিয়ন, পার্টনার কান্ট্রি থাই জোন, তিনটি আলাদা জোন নিয়ে ৪৫০টির বেশি প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশ নিচ্ছে। অন্যান্য বছরের মতো থাইল্যান্ড মেলার পার্টনার কান্ট্রি হিসেবে অংশ নিচ্ছে জানিয়ে নুরুন নেওয়াজ বলেন, থাইল্যান্ড পাঁচ হাজার ৪০০ বর্গফুট জায়গা নিয়ে মেলায় অংশ নেবে।