নিজস্ব প্রতিবেদক : স্বল্প দূরত্বে চলাচলকারী যাত্রীবাহী ট্রেনগুলো আজ বৃহস্পতিবার থেকে চলবে। কারফিউ শিথিল থাকা সময়টায় এসব ট্রেন চলাচল করবে।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা-গাজীপুর এবং ঢাকা-টাঙ্গাইল পথের কমিউটার ট্রেনগুলো চলাচল করবে। তবে সময় পাঁচ ঘণ্টা। এ সময়ের মধ্যে দুই থেকে তিনবার যাতায়াত (ট্রিপ) করতে পারবে। দূরবর্তী যাত্রার মধ্যে ঢাকা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মধ্যে চলাচল করবে তিতাস কমিউটার ট্রেন। স্বাভাবিক সময়ে তিতাস ট্রেন দিনে চারবার আসা-যাওয়া করে। কাল সকাল সোয়া ১০টায় যাবে। দুপুর ১টা ৫ মিনিটে ফিরতি যাত্রা শুরু করবে।
ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ পথে স্বাভাবিক সময়ে ২০ বারের বেশি কমিউটার ট্রেন যাতায়াত করে। তবে আগামীকাল তা তিন-চারবার আসা-যাওয়া করতে পারে বলে রেলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। রেলের পশ্চিমাঞ্চলে (রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগ) দুটি পথে ট্রেন চলাচল করতে পারে। এর মধ্যে রাজশাহী থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ এবং লালমনিরহাট থেকে বুড়িমারী পর্যন্ত চলাচল করবে কমিউটার ট্রেন।
এর বাইরে মালবাহী ট্রেন গতকালও কিছু চলাচল করেছে। আর তেলবাহী ট্রেন মঙ্গলবার থেকেই চলাচল করছে।
রেলওয়ে সূত্র জানিয়েছে, ভারত থেকে পাথরবাহী দুটি মালবাহী ট্রেন গতকাল চলাচল করেছে। আর বিদ্যুৎকেন্দ্রে জ্বালানি সরবরাহের লক্ষ্যে চলছে তেলবাহী ট্রেন। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব হুমায়ুন কবীর বলেন, কারফিউ শিথিল সময়টায়ই তারা স্বল্প দূরত্বের ট্রেন চালাবেন। এরপর সরকার কারফিউ নিয়ে নতুন কোনো সিদ্ধান্ত নিলে সে অনুযায়ী গতকাল ট্রেন চালানোর বিষয়ে আবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
রেলওয়ে কর্মকর্তারা বলছেন, পাঁচ ঘণ্টা শিথিল সময়ের মধ্যে আন্তঃনগর ট্রেন চালানো সম্ভব নয়। কারণ ঢাকা থেকে একটা ট্রেন চট্টগ্রামে যেতেই পাঁচ ঘণ্টার বেশি সময় লেগে যায়। ফলে ফিরে আসা আর সম্ভব নয়। ঢাকা-রাজশাহী কিংবা ঢাকা-খুলনা পথে আরও বেশি সময় লাগে। রেলে সাধারণত একটা ট্রেন কোনো গন্তব্যে গেলে সেটি ফিরে আসার পর এক ট্রিপ ধরা হয়। কাল শুক্রবার থেকে কিছু আন্তঃনগর ট্রেন চালানোর প্রস্তুতি আছে বলে রেলওয়ে সূত্র জানিয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সারাদেশে বিক্ষোভ ও সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এতে গত শুক্রবার থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত সারাদেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়।