নিজস্ব প্রতিবেদক : ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি ম্যারিকো বাংলাদেশ লিমিটেডের শেয়ার আজ থেকে স্পট মার্কেটে লেনদেন হবে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে জানা গেছে এ তথ্য।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, কোম্পানিটির রেকর্ড ডেট নির্ধারিত হয়েছে আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি। তাই রোববার ও সোমবার কোম্পানির শেয়ার স্পট মার্কেটে লেনদেন হবে। রেকর্ড ডেটের দিন শেয়ার লেনদেন বন্ধ থাকবে। রেকর্ড ডেট শেষ হওয়ার পরদিন থেকে শেয়ার লেনদেন স্বাভাবিক নিয়মেই চলবে।
সম্পতি ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি ম্যারিকো বাংলাদেশ লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ সমাপ্ত তিন প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে অন্তর্বর্তীকালীন ৩০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এজন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১৮ ফেব্রুয়ারি।
এর আগে কোম্পানিটি প্রথম ছয় মাসের জন্য (এপ্রিল-সেপ্টেম্বর) অন্তর্বর্তীকালীন ২০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করে। আর ২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকের (এপ্রিল-জুন, ২০১৯) নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে অন্তর্বর্তীকালীন ২৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করে। আর ৩১ মার্চ ২০১৯ সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটি সর্বমোট ৬৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করে। এর মধ্যে ৬০০ শতাংশ অন্তর্বর্তীকালীন লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিল আর সর্বশেষ ৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা দিয়েছিল।
এদিকে কোম্পানিটির তৃতীয় প্রান্তিকের (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০১৯) নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী ইপিএস হয়েছে ১৯ টাকা ৬৮ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ১৬ টাকা ৪৭ পয়সা। ৩০ জুন ২০১৯ তারিখে শেয়ারপ্রতি এনএভি দাঁড়িয়েছে ৫৮ টাকা ৩৬ পয়সা, যা ২০১৯ সালের ৩১ মার্চে ছিল ৪০ টাকা ৪৯ পয়সা। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ দাঁড়িয়েছে ৮৫ টাকা ৪২ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৬১ টাকা ৮৮ পয়সা।
এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর শূন্য দশমিক শূন্য এক শতাংশ বা ১০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ এক হাজার ৬৮২ টাকায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল এক হাজার ৬৮১ টাকা ৮০ পয়সা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনিম্ন এক হাজার ৬৭৫ টাকা থেকে সর্বোচ্চ এক হাজার ৬৯০ টাকায় ওঠানামা করে। ওইদিন তিন হাজার ৫৫৯টি শেয়ার মোট ১২৮ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৫৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা। এক বছরের মধ্যে শেয়ারদর এক হাজার ২৬০ টাকা ৯০ পয়সা থেকে এক হাজার ৮৯৯ টাকা ৫০ পয়সায় ওঠানামা করে।
ওষুধ ও রসায়ন খাতের এ কোম্পানিটি ২০০৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ৪০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৩১ কোটি ৫০ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৭৪ কোটি ৩৯ লাখ ৮০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির তিন কোটি ১৫ লাখ শেয়ার রয়েছে। ডিএসই থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৯০ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক দুই দশমিক ৭৮ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারী ছয় দশমিক শূন্য তিন শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে এক দশমিক ১৯ শতাংশ শেয়ার। সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য আয় (পিই) অনুপাত ২৬ দশমিক ১৮ এবং হালনাগাদ অনিরীক্ষিত ইপিএসের ভিত্তিতে ১৮ দশমিক ৫৮।