নিজস্ব প্রতিবেদক: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জš§বার্ষিকী উপলক্ষে আজ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত ৩ কোটি ২৫ লাখ ডোজ করোনার টিকা দেয়ার এক বিশেষ কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক এ তথ্য জানিয়েছেন। এ বিশেষ ক্যাম্পেইনে একাধারে টিকার প্রথম, দ্বিতীয় ও বুস্টার ডোজের টিকা দেয়া হবে।
গতকাল ২৬তম জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ উদ্যাপন উপলক্ষে অবহিতকরণ সভা শেষে তিনি এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।
জাহিদ মালেক বলেন, ‘টিকা নিয়ে প্রতিনিয়ত একটা মাইলফলক হয়। কিছুদিন আগে একদিনে এক কোটি ২০ লাখ টিকা দেয়া হয়েছে। আমরা একটি প্রোগ্রাম করছি। যেমনটা আগেও করেছি। সেটি হবে বুস্টার ডোজ, দ্বিতীয় ডোজ এবং প্রথম ডোজও বটে।’
তিনি বলেন, ‘আজ থেকে ২৬ মার্চ সব মিলিয়ে আমরা একটি বিশাল কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। এ কর্মসূচির মাধ্যমে তিন কোটি ২৫ লাখ ডোজ টিকা দিতে আমরা বদ্ধপরিকর। আমরা দিতে চাই এবং আমরা আশা করি, সেটা দিতে পারব।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘টিকার কোনো অভাব নেই, টিকা আমাদের যথেষ্ট রয়েছে। আট কোটির ওপরে টিকা আমাদের কাছে আছে। আপনারা জানেন, ইতোমধ্যে আমরা ১২ কোটি ৬২ লাখ প্রথম ডোজ দিয়েছি। ৯ কোটি চার লাখ দ্বিতীয় ডোজ দিয়েছি। আর বুস্টার ডোজ দেয়া হয়েছে ৫০ লাখ। সব মিলিয়ে ২২ কোটির বেশি ডোজ টিকা দেয়া হয়েছে। আরও ৩ কোটি ডোজ দিতে পারলে আমাদের মোট টিকা দেয়ার সংখ্যা ২৫ কোটি পার হবে। অর্থাৎ দেশের মোট জনগণের ৭৫ শতাংশ এবং টার্গেটেড জনগোষ্ঠীর প্রায় ৯৫ থেকে ১০০ শতাংশ মানুষ টিকা পাবেন।’
জাহিদ মালেক বলেন, ‘গতকাল বুধবার একজনেরও মৃত্যু হয়নি করোনায় আক্রান্ত হয়ে। এটা আমাদের জন্য একটি বড় বিষয়। আক্রান্তের সংখ্যাও সবচেয়ে কম ছিল বেশ কয়েক মাসের গড় হিসাবে, এটা খুবই আশাব্যঞ্জক। আমরা খুবই ভালো অবস্থায় আছি, করোনা নিয়ন্ত্রণের পেছনে অনেক কাজ করতে হচ্ছে। দেশে করোনার চিকিৎসার কোনো অভাব নেই, অক্সিজেনের অভাব নেই, বেডের অভাব নেই, আইসিইউর অভাব নেই। যার ফলে রোগীরা যারা হাসপাতালে যান, ভালো চিকিৎসা পান, সেই সঙ্গে রোগীর সংখ্যা খুবই কম। পাশাপাশি টিকা দেয়ার কারণে অনেক লাভবান হয়েছি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সবচেয়ে বড় লাভ মৃত্যু শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে। ভ্যাকসিন দিতে পারায় স্কুল-কলেজ খুলে গেছে। ভ্যাকসিন দেয়ার কারণে, মৃত্যু কমার কারণে আমাদের দেশের অর্থনীতি সচল, আমদানি-রপ্তানি ভালো চলছে। জিডিপি ছয় শতাংশের ওপরে রয়েছে, ভারতে এর চেয়ে কম রয়েছে। আমাদের জীবনযাত্রা-চলাফেরা স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। টিকা নেয়া এর অন্যতম কারণ।’