Print Date & Time : 18 June 2025 Wednesday 5:36 pm

আজ পর্দা উঠছে কাতার ফুটবল বিশ্বকাপের

শেয়ার বিজ ডেস্ক: মরুর দেশে বিশ্বকাপ উৎসবের অপেক্ষার পালা শেষ হলো বিশ্ববাসীর। আজ রোববার পর্দা উঠছে বিশ্বকাপ ফুটবলের ২২তম আসরের। কাতারের পাঁচ শহরের ৮ স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের মোট ৬৪টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। বিশ্বকাপ চলবে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আজ বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায় উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হবে স্বাগতিক কাতার ও ইকুয়েডর। এর মধ্য দিয়ে শুরু হবে মাসব্যাপী বিশ্বকাপের লড়াই।

ম্যাচটির আগে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় শুরু হবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, চলবে টানা ৪৫ মিনিট। কাতারের খোর শহরের আল বায়াত স্টেডিয়ামে হবে সব আয়োজন। স্টেডিয়ামটিতে একসঙ্গে ৬০ হাজার দর্শক বসতে পারবেন। এটি কাতারের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্টেডিয়াম। ৮০ হাজার ধারণক্ষমতার লুসাইল স্টেডিয়ামটি সবচেয়ে বড়।

প্রথমবারের মতো মধ্যপ্রাচ্যের কোনো দেশ হিসেবে কাতারে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিশ্বকাপ। কাতারও বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো অংশ নিচ্ছে। স্বাগতিক হিসেবে সরাসরি বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে দেশটি। অন্যদিকে আট বছর পর বিশ্বকাপে ফিরেছে ইকুয়েডর। কাগজে-কলমে কাতারের চেয়ে বেশ খানিকটা এগিয়ে রয়েছে দলটি। যে কারণে ম্যাচটিতে জয়ের সম্ভাবনায়ও এগিয়ে রয়েছে সফরকারীরা।

বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে এ পর্যন্ত কোনো স্বাগতিক দল পরাজিত হয়নি। ইতিহাস এদিক থেকে কিছুটা হলেও কাতারের পক্ষে রয়েছে। ১৯৭৮ সালের পর উদ্বোধনী কোনো ম্যাচ গোলশূন্যভাবেও শেষ হয়নি। কাতার এ পর্যন্ত টানা পাঁচ ম্যাচে অপরাজিত রয়েছে।

সেপ্টেম্বরে চিলির সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করার পর একে একে গুয়াতেমালা, হন্ডুরাস, পানামা ও আলবেনিয়াকে হারিয়েছে কাতার। এ পরিসংখ্যানগুলো কাতারকে বাড়তি আত্মবিশ্বাস জোগাচ্ছে। গত পাঁচ বছর ধরে স্প্যানিশ কোচ ফেলিক্স সানচেজ বাসের অধীন কাতার নিজেদের ধীরে ধীরে প্রস্তুত করেছে। গ্রুপ-এ এর অপর দুটি দল হচ্ছে সেনেগাল ও নেদারল্যান্ডস। কাতারের লক্ষ্য স্বাগতিক হিসেবে নিজেদের সেরাটা দিয়ে যতটা সম্ভব সবাইকে আকৃষ্ট করা, ভালো খেলা উপহার দেয়া।

আফ্রিকান নেশনস কাপ বিজয়ী সেনেগাল ও ২০১০ বিশ্বকাপের ফাইনালিস্ট নেদারল্যান্ডকে মোকাবিলা করা ৫০তম র?্যাঙ্কধারী দলটির পক্ষে কতটা সম্ভব হবে তা নিয়ে শঙ্কা থেকে যায়। ২০০২ সালে চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সকে হারিয়ে সেনেগাল উদ্বোধনী ম্যাচে অভিষিক্ত দল হিসেবে যে রেকর্ড গড়েছিল তার পুনরাবৃত্তি করতে চায় কাতার। একই সঙ্গে বিশ্বকাপে দ্বিতীয় স্বাগতিক হিসেবে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিয়ে ২০১০ সালে সাউথ আফ্রিকার রেকর্ডটা স্পর্শ করতে চায় না মেরুনরা।

আজকের ম্যাচে জয়ী হতে পারলে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের (এএফসি) একমাত্র দেশ হিসেবে বিশ্বকাপে কোনো ম্যাচে জয়েরও ইতিহাস গড়বে কাতার। অন্যদিকে অবৈধ খেলোয়াড় বাছাই পর্বে খেলানোর অভিযোগে ইকুয়েডর সমালোচিত হয়েছিল। যদিও শেষ পর্যন্ত ওই অভিযোগের কোনো সত্যতা মেলেনি। এর আগে ২০০২, ২০০৬ ও ২০১৪ সালে তিনবার বিশ্বকাপে খেলার অভিজ্ঞতা থেকে ইকুয়েডর প্রথম থেকে এগিয়ে যেতে চায়। ১৬ বছর আগে তারা শেষ ১৬-তে গিয়েছিল, বাকি দুটি আসরের গ্রুপ পর্ব থেকে তাদের বিদায় নিতে হয়েছে।

বিশ্বকাপের আগে পাঁচটি প্রীতি ম্যাচের কোনোটিতে কোনো গোল হজম করেনি ইকুয়েডর। সর্বশেষ ইরাকের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করেছে। দুই বছর আগে দলের দায়িত্ব পাওয়া আর্জেন্টাইন কোচ গুস্তাভো আলফারোর অধীনে এভাবেই পুরো ইকুয়েডর বিশ্বকাপের আগে আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর চেষ্টা করেছে।

কাতার এর আগে তিনবার ইকুয়েডরের বিপক্ষে ঘরের মাঠে খেলেছে। এর মধ্যে একটিতে জয়, একটি ড্র ও একটি পরাজিত হয়েছে।