Print Date & Time : 21 June 2025 Saturday 9:57 pm

আজ বসছে সংসদের বিশেষ অধিবেশন

নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবর্ষ উপলক্ষে জাতীয় সংসদের ‘বিশেষ অধিবেশন’ বসছে আজ। চলতি একাদশ সংসদের দশম এ অধিবেশন সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হবে।

এটি বিশেষ অধিবেশন হলেও প্রথম কার্যদিবস চলবে সাধারণ অধিবেশনের মতো। পরদিন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের স্মারক বক্তৃতার মাধ্যমে শুরু হবে বিশেষ অধিবেশনের কার্যক্রম।

রাষ্ট্রপতির বক্তৃতার আগে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ভাষণ সংসদ কক্ষে দেখানো হবে। কভিড-১৯ মহামারীকালের আগের তিনটি অধিবেশনের মতো এবারও সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এ অধিবেশনের কার্যক্রম চলবে।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধুর জš§শতবার্ষিকী সাড়ম্বরে উদ্যাপনে এ বছরকে ‘মুজিববর্ষ’ ঘোষণা করে নানা কর্মসূচি নিয়েছিল সরকার। তার অংশ হিসেবে গত ৯ জানুয়ারি সংসদের কার্য উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে এই বিশেষ অধিবেশন করার সিদ্ধান্ত হয়।

কথা ছিল, ২২-২৩ মার্চ এই বিশেষ অধিবেশন হবে। অধিবেশনের শুরুতেই রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ভাষণ দেবেন। এরপর বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন নিয়ে একটি প্রস্তাব পাস হবে।

কিন্তু বিশ্বের অন্য সব দেশের মতো বাংলাদেশেও করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়তে থাকলে মুজিববর্ষের অনুষ্ঠান কাটছাঁট করা হয়, সংসদের বিশেষ অধিবেশনও স্থগিত হয়ে যায়। বাংলাদেশের ইতিহাসে এটিই প্রথম কোনো ‘বিশেষ অধিবেশন’।

এর আগে ১৯৭৪ সালের ৩১ জানুয়ারি ও ১৮ জুন সংসদে যে বিশেষ বৈঠক বসেছিল, সেখানে যুগোসেøাভিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট মার্শাল টিটো এবং ভারতের রাষ্ট্রপতি বরাহগিরি ভেঙ্কটগিরি ভাষণ দিয়েছিলেন।

এবার মার্চে যে বিশেষ অধিবেশন ডাকা হয়েছিল, সেখানে প্রতিবেশী দেশগুলোর স্পিকারদের আমন্ত্রণ জানানোর কথা ছিল; কিন্তু তখন তা স্থগিত হয়।

এদিকে ৯ নভেম্বর বিশেষ অধিবেশনে সংসদ কক্ষে দেশীয় বিভিন্ন অতিথিকে আমন্ত্রণ জানাতে না পারছেন বলে ‘দুঃখ প্রকাশ’ করেছেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।

বিভিন্ন জনের কাছে পাঠানো কার্ডে স্পিকার বলেছেন, ‘বর্তমান কভিড-১৯ পরিস্থিতিজনিত কারণে বিশেষ অধিবেশন সশরীরে প্রত্যক্ষ করার জন্য সংসদ ভবনে আপনাকে আমন্ত্রণ জানাতে অপরাগ হওয়ায় আন্তরিকভাবে দুঃখিত।’ স্পিকার সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিশন এবং বাংলাদেশ টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার থেকে অধিবেশন দেখার আহ্বান জানান।

সংসদ সচিবালয়ের তথ্য অনুযায়ী, প্রথমদিনের কর্মসূচিতে প্রথমে সভাপতিমণ্ডলীর মনোনয়ন, শোক প্রস্তাব প্রস্তাব গ্রহণ, প্রশ্নোত্তর ও ৭১ বিধির জরুরি জনগুরুত্বসম্পন্ন মনোযোগ আকর্ষণের নোটিস নিষ্পত্তি হবে।

এরপর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) অধ্যাদেশ-২০২০ উপস্থাপন হবে। এছাড়া এদিন তথ্য কমিশনের বার্ষিক প্রতিবেদন স্থায়ী কমিটির রিপোর্ট উপস্থাপন ও দুটি বিল উত্থাপন করা হবে। বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড-২০২০ এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) বিল-২০২০ উত্থাপন হবে।

৯ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টায় বিশেষ অধিবেশনের কার্যক্রম শুরু হবে। ওইদিন অধিবেশনের শুরুতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ভাষণ দেবেন।

সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সাধারণ প্রস্তাবের ওপর টানা চার দিন আলোচনা হতে পারে। পরে বৃহস্পতিবার প্রস্তাবটি গ্রহণ করা হবে। এরপর আগামী সপ্তাহে দুই বা তিন দিন সাধারণ বৈঠক চলার মাধ্যমে অধিবেশনটি শেষ হবে।