নিজস্ব প্রতিবেদক: দীর্ঘ পাঁচ মাস হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বাসায় আনা হচ্ছে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে। আজ বৃহস্পতিবার হাসপাতাল থেকে গুলশানের বাসভবনে আনা হতে পারে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে।
বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, মেডিকেল বোর্ড সুপারিশ করলে ম্যাডামকে বাসায় আনা যেতে পারে। বাসায় আনার পরও মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী ম্যাডামের চিকিৎসা অব্যাহত থাকবে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার বলেন, ম্যাডামের মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসক ডা. জাহিদ হোসেন জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার বিকালের দিকে ম্যাডামকে বাসায় আনা হতে পারে।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ৯ আগস্ট থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়া। গতকাল বুধবার দুপুরে তাকে কেবিন থেকে সিসিইউতে নেয়া হয়। আবার সন্ধ্যায় কেবিনে নিয়ে আসা হয়।
৭৭ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ এবং কিডনি ও লিভারের অসুস্থতাসহ নানা রোগে ভুগছেন। খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য পরিবার ও দলের পক্ষ থেকে সবার কাছে দোয়া কামনা করা হয়েছে।
উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিতে তার পরিবার থেকে সরকারের কাছে আবেদন করা হলেও অনুমতি পাওয়া যায়নি। এ পরিস্থিতিতে গত ২৭ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্র থেকে তিনজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এনে ঢাকায় এভারকেয়ার হাসপাতালে বিএনপি নেত্রীর রক্তনালিতে অস্ত্রোপচার করা হয়।
২০১৮ সালে দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাবন্দি হওয়ার পর খালেদা জিয়া একাধিকবার হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী গুলশানের ভাড়া বাসা ‘ফিরোজা’য় চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণেও চিকিৎসা নিয়েছেন। পরে তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেয়া হয়।
উল্লেখ্য, দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে খালেদা জিয়া ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রæয়ারি কারাগারে যান। করোনা মহামারি শুরু হওয়ার পর পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ তাকে নির্বাহী আদেশে শর্তসাপেক্ষে চিকিৎসার জন্য ছয় মাসের সাময়িক মুক্তি দেয় সরকার। এর পর থেকে তার পরিবারের আবেদনে দণ্ডাদেশ স্থগিতের মেয়াদ ছয় মাস করে বাড়ানো হচ্ছে। তিনি গুলশানের বাসায় অবস্থান করছেন। চিকিৎসার জন্য তার পরিবারের সদস্যরা তাকে দেশের বাইরে নিতে চাইলেও সে অনুমতি মেলেনি। খালেদা জিয়া বন্দি হওয়ার পর তার মুক্তির দাবিতে বিভিন্ন ধরনের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করে আসছে বিএনপিসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন।
