Print Date & Time : 20 June 2025 Friday 11:13 am

আজ ম্যারিকো বাংলাদেশের লেনদেন বন্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক: ম্যারিকো বাংলাদেশ লিমিটেডের রেকর্ড ডেট আজ। এজন্য শেয়ার লেনদেন বন্ধ থাকবে। রেকর্ড ডেট শেষ হওয়ার পরদিন অর্থাৎ আগামীকাল বুধবার থেকে শেয়ার লেনদেন স্বাভাবিক নিয়মেই চলবে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে জানা গেছে এ তথ্য।
২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকের (এপ্রিল-জুন, ২০১৯) নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে অন্তর্বর্তীকালীন লভ্যাংশ ঘোষণা করে। তথ্যমতে, ৩০ জুন ২০১৯ সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিক বা তিন মাসের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে অন্তর্বর্তীকালীন ২৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে ইপিএস হয়েছে ২৬ টাকা ৯৫ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ১৭ টাকা ৬২ পয়সা। শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৬৬ টাকা ৮৫ পয়সা। যা ২০১৯ সালের ৩১ মার্চে ছিল ৪১ টাকা ৩৪ পয়সা। এ জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে আজ ২০ আগস্ট।
এদিকে গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর শূন্য দশমিক ১২ শতাংশ বা দুই টাকা ২০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ এক হাজার ৮০০ টাকায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল এক হাজার ৮০৬ টাকা ৮০ পয়সা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনিম্ন এক হাজার ৭৮৭ টাকা ৩০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ এক হাজার ৮২০ টাকায় ওঠানামা করে। ওইদিন ৯ হাজার ৬০৮ শেয়ার মোট ৩৪৪ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর এক কোটি ৭৩ লাখ পাঁচ হাজার টাকা। এক বছরের মধ্যে শেয়ারদর এক হাজার ৯৫ টাকা থেকে এক হাজার ৮২৭ টাকা ৯০ পয়সায় ওঠানামা করে।
এর আগে ৩১ মার্চ, ২০১৯ সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটি সর্বমোট ৬৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করে। এর মধ্যে ৬০০ শতাংশ অন্তর্বর্তীকালীন লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিল আর সর্বশেষ ৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা দিয়েছিল।
এর আগের বছর অর্থাৎ ২০১৮ সালের ৩১ মার্চ সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ৬০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল, যা তার আগের বছরের চেয়ে ১০০ শতাংশ বেশি। ২০১৮ সালে ইপিএস হয়েছিল ৫২ টাকা ১৫ পয়সা আর শেয়ারপ্রতি এনএভি হয়েছিল ৪৭ টাকা ৩৮ পয়সা। যা তার আগের বছর একই সময় ছিল ৪৫ টাকা ৭২ পয়সা ও ৫০ টাকা ১৬ পয়সা। ২০১৮ সালে মোট মুনাফা করে ১৬৪ কোটি ২৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা, যা আগের বছর হয়েছিল ১৪৪ কোটি এক লাখ ৯০ হাজার টাকা।
ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানিটি ২০০৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ৪০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৩১ কোটি ৫০ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৯২ কোটি ৩২ লাখ ৪০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির তিন কোটি ১৫ লাখ শেয়ার রয়েছে। ডিএসই থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৯০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক দুই দশমিক ৩৭ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীর কাছে ছয় দশমিক ৭৯ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে শূন্য দশমিক ৮৪ শতাংশ শেয়ার। সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য আয় (পিই) অনুপাত ৩৪ দশমিক ৬৫ এবং হালনাগাদ অনিরীক্ষিত ইপিএসের ভিত্তিতে ১৬ দশমিক ৭৬।
এদিকে কোম্পানিটির প্রথম প্রান্তিকের (এপ্রিল-জুন, ২০১৯) নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী ইপিএস হয়েছে ২৬ টাকা ৯৫ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ১৭ টাকা ৬২ পয়সা। ৩০ জুন ২০১৯ তারিখে শেয়ারপ্রতি এনএভি দাঁড়িয়েছে ৬৬ টাকা ৮৫ পয়সা, যা ২০১৯ সালের ৩১ মার্চে ছিল ৪১ টাকা ৩৪ পয়সা। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ দাঁড়িয়েছে ৩৫ টাকা ৫৬ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ২৯ টাকা ৫৯ পয়সা।