আজ বিশ্ব রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট দিবস। ১৮২৮ সালের ৮ মে রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্টের প্রতিষ্ঠাতা জীন হেনরী ডুনান্ট সুইজারল্যান্ডের জেনেভা শহরে জš§গ্রহণ করেন। এই মহান ব্যক্তিকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করার জন্য প্রতি বছর তার জš§দিনটিকে বিশ্ব রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট দিবস হিসেবে সারা বিশ্বে উদ্যাপন করা হয়। বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিও বিশ্বের অন্যান্য জাতীয় সোসাইটির ন্যায় যথাযথ গুরুত্ব ও মর্যাদা সহকারে দিবসটি পালন করছে। বিশ্ব রেড ক্রস রেড ক্রিসেন্ট দিবসের সব অনুষ্ঠান স্বাস্থ্যবিধি মেনে সম্পাদিত হবে বলে জানিয়েছেন রেড ক্রিসেন্ট কর্তৃপক্ষ।
এবারের ২০২১ এর বিশ্ব রেড ক্রস এবং রেড ক্রিসেন্ট দিবস এর থিমটি #অপ্রতিরোধ্য। রেড ক্রস এবং রেড ক্রিসেন্ট স্বেচ্ছাসেবকরা ১৯২টিরও বেশি দেশে অবিরামভাবে কাজ করে যাচ্ছেন, বড় শহরগুলো থেকে শুরু করে সর্বাধিক প্রত্যন্ত এবং দুর্গোম এলাকার মানুষদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন নানা ধরনের মানবিক সহায়তা এবং সেই সঙ্গে মানুষকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন যে মানবতার শক্তি অবিরাম, অপ্রতিরোধ্য।
দিবসটি উপলক্ষে ৮ মে শনিবার বেলা ১১টায় বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির জাতীয় সদর দপ্তরস্থ ট্রেনিং রুমে ভার্চুয়াল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় দেশের ৬৪ জেলার ৬৮টি রেড ক্রিসেন্ট ইউনিট সংশ্লিষ্টরা অংশগ্রহণ করবে। এছাড়াও একই স্থানে দুপুর ১২টায় ভলান্টিয়ার ট্যালেন্ট হান্ট (প্রতিভা অন্বেষণ) ও ভলান্টিয়ার রিক্রুটমেন্ট ড্রাইভ (স্বেচ্ছাসেবক সংগ্রহ অভিযান) বিষয়ক পরপর দুটি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে সকাল ৯টায় জাতীয় ও রেড ক্রিসেন্ট পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিনের কার্যক্রম শুরু হবে। এ সময় সোসাইটির ব্যবস্থাপনা পর্ষদ সদস্যবৃন্দ, মহাসচিব, উপ-মহাসচিব, সোসাইটির সব স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও স্বেচ্ছাসেবক উপস্থিত থাকবেন। এছাড়া বাংলাদেশের সব জেলা সদরে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সংশ্লিষ্ট জেলা ইউনিটগুলো বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বিশ্ব রেড ক্রস রেড ক্রিসেন্ট দিবস উদ্্যাপন করবে।