শোবিজ ডেস্ক: আজ শেষ হচ্ছে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী মানুষের জীবনচিত্র এবং বৈচিত্র্যময় সাংস্কৃতিক জীবন নিয়ে তিন দিনব্যাপী আর্ট ক্যাম্প। দেশব্যাপী ছড়িয়ে থাকা ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী মানুষের জীবনযাত্রা ওপর আঁকা ছবি নিয়ে এ আর্ট ক্যাম্পের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ৫০ জন শিল্পী সারা দিন ছবি এঁকেছেন। তাদের ক্যানভাসে রূপায়িত হয়েছে দেশজুড়ে ছড়িয়ে থাকা এসব জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে শুরু হয়েছে তিন দিনের এ আর্ট ক্যাম্প। উদ্বোধন করেন মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী ও সচিব জাহাঙ্গীর হোসেন চৌধুরী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আর্ট ক্যাম্পের প্রধান সমন্বয়কারী শিল্পী কনকচাঁপা চাকমা। বৃহস্পতিবার জাতীয় চিত্রশালার সুবিশাল প্লাজায় যেদিকে দৃষ্টি গেছে, মুগ্ধ হয়েছে মন। ক্যানভাসে যে যার দেখা, শোনা ও জানার অভিজ্ঞতা থেকে ছবি আঁকছেন। কোনোটিতে মানুষ, কোনোটিতে যাপিত জীবন। এক নৃ-গোষ্ঠী শিল্পী এঁকেছেন আরেক নৃ-গোষ্ঠীর ছবি।
এর আগে গত ২১ থেকে ২৩ জুলাই একাডেমি থেকে ৫০ জন শিল্পী কয়েকটি ভাগে বিভক্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী অঞ্চল পরিদর্শন করেছেন। তারা বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর তথ্য-উপাত্ত, স্থিরচিত্র সংগ্রহ করেন। যার ওপর ভিত্তি করে ক্যানভাস রাঙিয়ে তুলছেন শিল্পীরা। তিন দিন ধরে সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ৫০টি নৃ-গোষ্ঠীর ৫০ জন শিল্পী তাদের তুলিতে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক জীবনের ওপর ১৫০টি চিত্রকর্ম আঁকবেন। চূড়ান্ত পর্যায়ে সেসব চিত্রকর্ম নিয়ে একটি ক্যাটালগসহ চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হবে। উদ্বোধনী দিনে আঁকা হয়েছে ৫০টি চিত্রকর্ম। আর্ট ক্যাম্পের প্রধান সমন্বয়কারী শিল্পী কনকচাঁপা চাকমা এসব কাজের তদারকি করছেন। তিনি জানালেন, এটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী শিল্পীদের নিয়ে সবচেয়ে বড় আর্ট ক্যাম্প। এর আগে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী শিল্পীদের নিয়ে তাদের জীবনচিত্রের ওপর এত বড় আর্ট ক্যাম্প হয়নি। এ প্রসঙ্গে শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী বলেন, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর আচার অনুশীলন, জীবনচিত্র ও বিভিন্ন সুকুমার বৃত্তি আমাদের সংস্কৃতির তাৎপর্যপূর্ণ অংশ। সেসব জাতিগোষ্ঠীর অধিকাংশেরই নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতি রয়েছে। পরিচর্যা ও সংরক্ষণের অভাবে তাদের ভাষা ও সাংস্কৃতিক অনুষঙ্গগুলো আজ যথাযথভাবে বিকশিত হচ্ছে না। সেগুলো সংগ্রহ করে চিত্রশিল্পে উপস্থাপনের জন্য এ উদ্যোগ।’
