বিশ্বখাদ্য দিবস (World Food Day)। ১৯৭৯ সালে বিশ্বখাদ্য ও কৃষি সংস্থার (ফুড অ্যান্ড অ্যাগ্রিকালচার অর্গানাইজেশন) ২০তম সাধারণ সভায় হাঙ্গেরির তৎকালীন খাদ্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. প্যাল রোমানি বিশ্বব্যাপী এই দিনটি উদযাপনের প্রস্তাব উত্থাপন করেন। ১৯৮১ সাল থেকে বিশ্বখাদ্য ও কৃষি সংস্থার প্রতিষ্ঠার দিনটিতে (১৬ অক্টোবর, ১৯৪৫) দারিদ্র্য ও ক্ষুধা নিবৃত্তির লক্ষ্যে বিভিন্ন বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিশ্বের ১৫০টিরও বেশি দেশে এই দিনটি গুরুত্বের সঙ্গে পালন করে আসছে।
একটি দেশের নাগরিকদের মৌলিক চাহিদাগুলোর মধ্যে খাদ্য প্রধান। তাই গত কয়েক দশকে বিশ্বের জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে চাষযোগ্য জমি সংরক্ষণ, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ, কৃত্রিম বনায়ন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণ প্রভৃতি কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বিশ্বের সব উন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশ, বৃহৎ ও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যস্ত হয়ে আছে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে। বিশ্বজুড়ে গ্লোবাল ওয়ার্মিং এবং আরও কয়েকটি বিষয়ের পাশাপাশি খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এখন গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যের মধ্যে একটি।
এ বছর খাদ্য দিবসের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘উন্নত জীবন ও উত্তম ভবিষ্যতের জন্য খাদ্যের অধিকার’ (Right to Foods for a Better Life and a Better Future ).
কৃষি মন্ত্রণালয় ও জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) উদ্যোগে এই দিনটি পালন করা হয়। একটি দেশের নাগরিকের মৌলিক চাহিদাগুলোর মধ্যে খাদ্য অন্যতম। এ দিন উদযাপন করার উদ্দেশ্য হলো খাদ্য সংকটের বিরুদ্ধে লড়াই করা সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়ানো। এর পাশাপাশি খাদ্য সংকটের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে মানুষকে উৎসাহিত করা।
বিশ্বখাদ্য দিবসের মূল উদ্দেশ্য : ক. কৃষি খাদ্য উৎপাদন করতে উৎসাহিত করা; অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা করতে উৎসাহিত করা; গ্রামের মানুষের অবদান সম্পর্কে উৎসাহিত করা, বিশেষ করে নারী ও সমাজে সব থেকে নিচু শ্রেণির মানুষকে বিশেষ সুযোগ দেয়া; উন্নয়নশীল দেশগুলোয় প্রযুক্তি স্থানান্তর সম্পর্কে প্রচার করা; ক্ষুধা, অপুষ্টি ও দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াই সম্পর্কে গোটা জাতিকে উৎসাহিত করা এবং সচেতনতা বাড়ানো; কৃষি উন্নয়ন সম্পর্কে নজর দেয়া। [ সংগৃহীত]