নিজস্ব প্রতিবেদক: পদ্মা সেতুর নির্মাণ সাফল্যকে দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক যোগাযোগের উন্নয়নে বাংলাদেশের নেতৃত্বের ‘উদাহরণ’ হিসেবে বর্ণনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশের দক্ষিণ জনপদের স্বপ্নের এই সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানিয়েছে ঢাকার মার্কিন দূতাবাস।
গতকাল দূতাবাসের এক বিবৃতিতে বলা হয়, অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যে মানুষের যাতায়াত ও পণ্য পরিবহনের জন্য টেকসই অবকাঠামো নির্মাণ গুরুত্বপূর্ণ। পদ্মা সেতু বাংলাদেশের ভেতরে নতুন ও গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ গড়ে তুলবে।
ব্যবসা-বাণিজ্যের বিকাশ ঘটানোর পাশাপাশি জীবনযাত্রার মান উন্নয়নেও পদ্মা সেতু ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘পদ্মা সেতু নির্মাণ দক্ষিণ এশিয়ায় যোগাযোগ বিকাশে বাংলাদেশের নেতৃত্বের আরেকটি দৃষ্টান্ত।’
৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকার এই সেতু নির্মিত হয়েছে নিজস্ব অর্থায়নে, যদিও শুরুতে বিশ্বব্যাংকের ঋণ দেয়ার কথা ছিল এই সেতুতে।
দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন স্থগিত করলে তাদের সঙ্গে টানাপড়েনের মধ্যে দেশের টাকায় এই সেতু নির্মাণের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০১৫ সালে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ মূল সেতুর নির্মাণযজ্ঞ শুরু হয়। সেই কাজ শেষে আজ বহু প্রত্যাশার পদ্মা সেতু উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। পরদিন পদ্মা সেতু যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে।