নিজস্ব প্রতিবেদক: আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে বাংলাদেশ এবং সৌদি আরব একে অপরকে সহেযাগিতা করে যাবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম। গতকাল বুধবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন ঢাকা সফররত সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ-বিষয়ক মন্ত্রী ড. তৌফিক আল-রাবিয়াহ। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
শাহরিয়ার আলম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে গত ১৪ বছরে বিভিন্ন কৌশলগত ইস্যুতে সৌদি আরবের পাশে থেকেছি। আমরা এ অঞ্চলে এবং এশিয়ায় শান্তি-শৃঙ্খলা বজার রাখার ক্ষেত্রে একজন আরেকজনের সঙ্গে কাজ করছি। আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে আমরা একে অপরকে সহযোগিতা করে যাব।
শাহরিয়ার আলম বলেন, আলোচনায় হজ ম্যানেজমেন্ট কীভাবে আরও ভালো করা যায়, তা নিয়ে কথা হয়েছে। সৌদিতে হজে যাওয়ার বিষয়টি অনেকটাই ঝামেলামুক্ত হয়ে গেছে। আমরা আলাপ করেছি, সৌদির যে বিগ ইনিশিয়েটিভ হচ্ছে, সেখানে বাণিজ্যিক হাব হিসেবে বাংলাদেশিদের সাইড ফ্রিকোয়েন্সি বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা অব্যাহতভাবে সৌদি আরবের ইন্ডাস্ট্রির সমর্থন পাই। আমাদের হিউম্যান রিসোর্সের সোকেস হচ্ছে সৌদি আরব। বাংলাদেশি ডায়াসপোরা সবচেয়ে বেশি সৌদি আরবে। প্রায় তিন মিলিয়ন বাংলাদেশি সেখানে আছে। সামনের দিনে পর্যটন খাতে আমাদের একসঙ্গে কাজ করার সুযোগ রয়েছে।
‘টেক্সটাইল, ফার্মাসিউটিক্যালস ও ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে আমাদের সম্ভাবনাকে সৌদির সঙ্গে কাজে লাগানোর সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের অনেক কিছু করার আছে সৌদির সঙ্গে,’ যোগ করেন প্রতিমন্ত্রী।
সৌদির হজ-ওমরাহ মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সফরে এসে আমি আনন্দিত। এটা কোনো হজ ও ওমরাহ মন্ত্রীর প্রথম বাংলাদেশ সফর। এখানে এসে আমরা বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখতে পাচ্ছি। বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশ। বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বেশ ভালো। প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে আমার ভালো আলোচনা হয়েছে।
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের চ্যালেঞ্জ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সৌদির মন্ত্রী বলেন, সম্পর্ক বাড়ানোর ক্ষেত্রে আমরা সম্ভাবনা দেখছি। বরং কোনো চ্যালেঞ্জ দেখছি না। বাংলাদেশে যেমন সৌদির বিনিয়োগ রয়েছে, তেমনি সৌদিতেও বাংলাদেশের ভালো বিনিয়োগ আছে। বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের সম্পর্ক অনেক পুরোনা। আমাদের সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হচ্ছে। আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে সৌদির বিনিয়োগমন্ত্রী বাংলাদেশ সফর করবেন বলেও জানান দেশটির হজ ও ওমরাহমন্ত্রী।