আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ার উন্নয়ন করতে হবে

শেয়ার বিজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমে এ অঞ্চলের সব মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও দারিদ্র্য বিমোচনকে গুরুত্ব দিচ্ছে তার সরকার। পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে এ অঞ্চলের উন্নয়ন এগিয়ে নিতে চায় বাংলাদেশ। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকায় দ্বিতীয় সাউথ এশিয়া মেরিটাইম অ্যান্ড লজিসটিক ফোরামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। খবর: বাসস।
রাজধানীর লা মেরিডিয়ান হোটেলে নৌ-মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ভারতের গেটওয়ে মিডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড ও শ্রীলঙ্কার কলম্বো ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম কনফারেন্স ইভেন্টসের সহযোগিতায় দুদিনব্যাপী এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
নদীমাতৃক বাংলাদেশের নদীগুলোর নাব্য সংকট কাটিয়ে ওঠার জন্য নদী খননের উদ্যোগসহ বন্ধ হয়ে যাওয়া নৌরুটগুলো পুনরায় চালুর জন্য ড্রেজিংয়ের ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আমরা আশা করি বাংলাদেশের জন্য একটি আধুনিক, দক্ষ ও পরিবেশবান্ধব পরিবহন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে নৌপরিবহন খাতে যথাযথ কর্মপন্থা গ্রহণ করব। আমাদের কর্মকৌশল হবে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশের যাতে কোনো ক্ষতি না হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে। এটাকে আমাদের ধরে রাখতে হবে এবং এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
তিনি বলেন, ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে আমরা বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে দেখতে চাই। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা সব পরিকল্পনা গ্রহণ করছি।
সরকারপ্রধান বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের বৃহত্তম বদ্বীপ অঞ্চল। এর শতকরা ৮০ ভাগ নদ-নদী, প্লাবন ভূমি। যার ওপর নির্ভরশীল দেশের বেশিরভাগ মানুষের জীবনযাত্রা ও অর্থনীতি। এ বদ্বীপেরও কিছু প্রতিকূলতা থাকে। সে প্রতিকূলতার বারবার আমরা সম্মুখীন হচ্ছি। কিন্তু যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশ এখন যথেষ্ট পারদর্শিতা অর্জন করেছে।’ প্রাকৃতিক দুর্যোগের কথা মাথায় রেখে ‘ডেল্টা প্ল্যান-২১০০’সহ অন্যান্য উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করে তা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা আমাদের বদ্বীপটাকে আগামীতে উন্নত করব। কারণ, ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা উন্নত দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে চাই।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি অপার সম্ভাবনার দেশ। নৌপরিবহন সেক্টরে রয়েছে বিপুল ব্যবসায়িক সুযোগ। দেশে-বিদেশে কনটেইনার পরিবহন উন্নয়নে ড্রেজিং কার্যক্রমসহ বন্দর ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনার ক্ষেত্রে আমাদের দেশি-বিদেশি বেসরকারি বিনিয়োগকারীরা যাতে আরও এগিয়ে আসে, সে জন্য আমাদের নীতিমালা আরও উন্নত করেছি এবং উš§ুক্ত করেছি। এছাড়াও বাংলাদেশের নদীবন্দরগুলোকে আধুনিকায়ন করা, নতুন বন্দর নির্মাণ, অভ্যন্তরীণ কনটেইনার ডিপোগুলোতে জাহাজ ও যাত্রীব্যবস্থাপনার উন্নয়ন এবং নৌযানের দক্ষতা নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। যে কারণে বেসরকারি খাতে বিনিয়োগের জন্য ব্যাপক সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
ভারত-মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমার সমাধান হওয়ার দিকটি তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, যে সমুদ্রসীমা পেয়েছি এবং তাতে যে সম্পদ রয়েছে তা আমাদের আর্থসামাজিক উন্নয়নে কাজে লাগাবার জন্য ইতোমধ্যে ‘ব্লু-ইকোনমি পলিসি’ গ্রহণ করেছি। আমরা মনে করি, এ সম্পদ ব্যবহার করে আমরা আমাদের আর্থসামাজিক উন্নয়নকে আরও ত্বরান্বিত করতে পারব।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০