নিজস্ব প্রতিবেদক: আটার দাম বাড়ার কারণে মানুষ চালে ঝুঁকছেন, এটি চালের দাম বৃদ্ধির অন্যতম একটি কারণ বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক। গতকাল ‘সপ্তম ডি-৮ মিনিস্ট্রিয়াল মিটিং অন অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড ফুড সিকিউরিটি’ নিয়ে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী এ কথা জানান।
ধানের উৎপাদন ভালো হয়েছে। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে চালের দাম একটু একটু করে বাড়ছে। এর যৌক্তিক কারণ আছে কি নাÑজানতে চাইলে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘সবসময় গমের দাম কম থাকে। যখন আটার দাম কম থাকে, তখন মানুষ আটা খায়। এখন তার উল্টো হয়েছে, গমের দাম বেশি। এতে মানুষ আবার চালের দিকে ঝুঁকেছেন। এটাও একটি কারণ।’
তিনি বলেন, ‘আগে বিদেশ থেকে আনা গমের দাম ২৫০ থেকে ৩০০ ডলারের বেশি হয়নি। সেই গমের টন এখন সাড়ে ৪০০ ডলার। সারের দাম বেশি। ২৫০ টাকার সার এখন ১০০০ টাকা। কৃষি উৎপাদন ও কৃষি পণ্যের বাজারজাতকরণ নিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে একটা অস্থিতিশীলতা বিরাজ করছে। আমি মনে করি, এটি কেটে যাবে। কিছু দাম বাড়লেও, তা বেশি দিন থাকবে না।’
উৎপাদন বাড়লেও চাল ও সরষে তেলের দাম কমছে না, এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘চাল আমাদের প্রধান খাদ্য। চালের সঙ্গে এখন আমরা গম খাচ্ছি, গমের উৎপাদনও বাড়ছে। ভুট্টা উৎপাদন হচ্ছে, ভুট্টা মূলত পশুখাদ্য হিসেবে ব্যবহƒত হয়। এটি পোলট্রি, লাইভস্টক ও ফিশারিজ ক্ষেত্রে মুরগি, গরু ও মাছকে খাওয়ানো হয়। বিভিন্ন ফসল করার জন্য আমাদের জমিও বরাদ্দ দিতে হচ্ছে। জমিও চলে যাচ্ছে। বিভিন্ন ফসলের মধ্যে জমি ব্যবহারের প্রতিযোগিতা হচ্ছে। প্রতি বছর ২০ থেকে ২৪ লাখ নতুন মুখ যুক্ত হচ্ছে, তাদের খাদ্যের জোগান দিতে হচ্ছে। রোহিঙ্গারা রয়েছে ১০ লাখ, তাদের খাদ্যও আমরা স্থানীয়ভাবে সরবরাহ করে থাকি।’
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘কাজেই সার্বিক বিচারে দেশে ওইভাবে খাদ্যের সংকট নেই। দেশে কিছুটা মূল্যস্ফীতি রয়েছে, এতে খাদ্যের দাম বেশি। বাজারে গিয়ে কেউ চাল কিনতে পারেননি, তা হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘নতুন প্রযুক্তি ও ধানের জাত বাজারে আনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, সেটার মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তাকে টেকসই করতে পারব। তেমন অসুবিধা হবে না।’
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের বিজ্ঞানীরা সরষের অনেক সুন্দর জাত আবিষ্কার করেছেন। সেগুলো আমরা মাঠপর্যায়ে নিতে চাচ্ছি। একটি অতিরিক্ত ফসল হিসেবে সরষে উৎপাদন হবে।’