নিজস্ব প্রতিবেদক: আলোচিত ১৯৯৬ সালের শেয়ার কেলেঙ্কারির দুই মামলায় আটজনকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. রইস উদ্দিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল এই আদেশ দেন। এক মাসের মধ্যে তাদের বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে হাইকোর্টের আদেশে আত্মসমর্পণের পর তদের জামিন বিবেচনা করার কথাও বলা হয়েছে।
মামলা দুটির মধ্যে এক মামলায় আসামি করা হয়Ñএইচএমএমএস ফাইন্যান্সিয়াল কনসালটেন্সি অ্যান্ড সিকিউরিটিজ, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাবেক চেয়ারম্যান হেমায়েত উদ্দিন আহমেদ, ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোস্তাক আহমেদ সাদেক, ডিএসইর সদস্য সৈয়দ মাহবুব মুর্শেদ, ডিএসইর বর্তমান পরিচালক শরিফ আতাউর রহমান এবং সাবেক চেয়ারম্যান আহমেদ ইকবাল হাসানকে। আর অন্য মামলায় আসামি করা হয়Ñসিকিউরিটিজ কনসালটেন্টস লিমিটেড, এমজি আজম চৌধুরী, শহীদুল্লাহ ও প্রফেসর মাহবুব আহমেদকে।
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে এ আদেশ দেন আদালত। দুই কোম্পানি এবং কোম্পানির ওই আটজনকে বিচারিক আদালতের দেওয়া খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল আবেদনটি করে বিএসইসি।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শফিউল বশর ভাণ্ডারী, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল স্বপন কুমার দাস ও সৈয়দা সাবিনা আহমদ মলি।
এ প্রসঙ্গে শফিউল বশর ভাণ্ডারী বলেন, ‘পুঁজিবাজারের মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে গঠিত ট্রাইব্যুনালের বিচারক আকবর আলী শেখ গত ১ ফেব্রুয়ারি দুই কোম্পানি এবং তাদের আটজনকে খালাস দেন।’ এর বিরুদ্ধে বিএসইসি ২৫ মার্চ হাইকোর্টে আপিল করেন। আদালত তাদের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন এবং নোটিস প্রাপ্তির এক মাসের মধ্যে দুই মামলার ব্যক্তিদের সংশ্লিষ্ট আদালতে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া আত্মসমর্পণের পর তাদের জামিন বিবেচনাও করতে বলেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এ দুই মামলার নথিও তলব করেছেন।
