নিজস্ব প্রতিবেদক: তালিকাভুক্ত কোম্পানি দি ইবনে সিনা ফার্মাসিটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ আট কোটি ৫০ লাখ টাকার জমি কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, কোম্পানিটি মিরপুর-১-এর ২/বি দারুস সালাম রোডে ১০ দশমিক ৪২ কাঠা জমি কিনবে। জমি কিনতে রেজিস্ট্রেশন ও অন্যান্য খরচ ছাড়া আট কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয় হবে।
গতকাল শেয়ারদর দশমিক ৩১ শতাংশ বা ৮০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ২৫৬ টাকায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ২৫৫ টাকা ৬০ পয়সা। দিনজুড়ে এক লাখ ৩৪ হাজার ৫৭৬টি শেয়ার মোট ৭৫৯ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর তিন কোটি ৪২ লাখ ৮৭ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ২৫২ টাকা ৩০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ২৫৬ টাকা ৯০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ২৩০ টাকা ১০ পয়সা থেকে ২৮৪ টাকা ৯০ পয়সায় ওঠানামা করে।
২০১৭ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি ২৫ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ বোনাসসহ মোট ৩৫ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) করেছে ৯ টাকা ছয় পয়সা ও শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভি) ৪২ টাকা ৭৯ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে ২৩ কোটি ৩৮ লাখ ৩০ হাজার টাকা।
‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি ১৯৮৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ৫০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ২৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৭৯ কোটি ১২ লাখ টাকা। ৩০ জুন ২০১৬ পর্যন্ত সমাপ্ত ১৮ মাসে সাড়ে ৩৭ শতাংশ নগদ ও ১৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছিল। এ সময় ইপিএস করেছিল ১১ টাকা ৪৪ পয়সা এবং এনএভি দাঁড়িয়েছে ৩৮ টাকা ৭২ পয়সা। কর-পরবর্তী মুনাফা করেছিল ২৫ কোটি ৬৮ লাখ ৭০ হাজার টাকা।
সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য আয় (পিই) অনুপাতে ২৮ দশমিক ২১ এবং হালনাগাদ অনিরীক্ষিত ইপিএসের ভিত্তিতে ২১ দশমিক ৪৮।
চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ইপিএস হয়েছে দুই টাকা ৩৯ পয়সা। এটি আগের বছর একই সময় ছিল এক টাকা ৬৭ পয়সা। সে হিসেবে ইপিএস বেড়েছে ৭২ পয়সা। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৭ পর্যন্ত এনএভি হয়েছে ৪৬ টাকা সাত পয়সা, যা একই বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত ছিল ৪২ টাকা ৭৯ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে ছয় কোটি ১৭ লাখ ৬০ হাজার টাকা।
কোম্পানিটির মোট দুই কোটি ৮৪ লাখ তিন হাজার ২৯৮টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৪৪ দশমিক ৪৭ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ১৮ দশমিক ১২ শতাংশ, বাকি ৩৭ দশমিক ৪১ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে।