নিজস্ব প্রতিবেদক:চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০১৯) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আট কোম্পানি। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আরামিট সিমেন্ট লিমিটেড: চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে এক টাকা ৯৫ পয়সা (লোকসান), যা আগের বছর একই সময় ছিল এক টাকা ৮৪ পয়সা (লোকসান)। এছাড়া ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ২৯ টাকা ৭৭ পয়সা, যা ২০১৯ সালের ৩০ জুনে ছিল ৮৫ পয়সা। আর এ প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৬৬ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল আট টাকা ২৪ পয়সা লোকসান।
স্থায়ী সম্পদ (জমি, কারখানা, ল্যাবরেটরি ভবন) পুনর্মূল্যায়নকে অনুমোদন করেছে সিমেন্ট খাতের কোম্পানিটি। এতে ১২৫ কোটি ৭৯ লাখ ২১ হাজার ৪২৩ টাকার সম্পদ বেড়েছে। বর্তমানে এ সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৩৯ কোটি ১৬ লাখ ৪৮ হাজার ২৮৬ টাকা, যা পুনর্মূল্যায়নের আগে ছিল ১৩ কোটি ৩৭ লাখ ২৬ হাজার ৮৬৩ টাকা।
বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন: চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে এক টাকা ২৮ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৫৩ পয়সা। এছাড়া ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ৫৯ টাকা ১৯ পয়সা, যা ২০১৯ সালের ৩০ জুনে ছিল ৫৬ টাকা ৯৫ পয়সা। আর এ প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে দুই টাকা ৭৯ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল এক টাকা ৫৪ পয়সা।
মালেক স্পিনিং মিলস লিমিটেড: চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৪০ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৫২ পয়সা। এছাড়া ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ৪৫ টাকা ৭৭ পয়সা, যা ২০১৯ সালের ৩০ জুনে ছিল ৪৫ টাকা ১৩ পয়সা। আর এ প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে দুই টাকা ৩৮ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল এক টাকা ৪৯ পয়সা।
যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেড: চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে চার টাকা ৭৭ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ছয় টাকা ৭১ পয়সা। এছাড়া ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১৬৪ টাকা ৪৮ পয়সা, যা ২০১৯ সালের ৩০ জুনে ছিল ১৬৭ টাকা ৬১ পয়সা। আর এ প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৩১ টাকা ১৪ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ২৩ টাকা ৮৩ পয়সা।
ইস্টার্ন হাউজিং লিমিটেড: চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৯৮ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৮৯ পয়সা। এছাড়া ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ৬১ টাকা ৬০ পয়সা, যা ২০১৯ সালের ৩০ জুনে ছিল ৬১ টাকা ৩৫ পয়সা। আর এ প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ১২ টাকা ১৮ পয়সা। যা আগের বছর একই সময় ছিল এক টাকা ৫১ পয়সা লোকসান।
আনোয়ার গ্যালভানাইজিং লিমিটেড: চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৫৪ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ১১ পয়সা। এছাড়া ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১০ টাকা ৬৯ পয়সা, যা ২০১৯ সালের ৩০ জুনে ছিল ৯ টাকা ৮৪ পয়সা। আর এ প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৭৪ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৪৫ পয়সা।
নাহি অ্যালুমিনিয়াম কম্পোজিট প্যানেল লিমিটেড: চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৮৫ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৯০ পয়সা। এছাড়া ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১৬ টাকা ৩২ পয়সা, যা ২০১৯ সালের ৩০ জুনে ছিল ১৫ টাকা সাত পয়সা। আর এ প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে এক টাকা দুই পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৬০ পয়সা।
দেশ গার্মেন্টস লিমিটেড: চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে এক টাকা চার পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল এক টাকা ৪০ পয়সা। এছাড়া ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ২১ টাকা ৬৫ পয়সা, যা ২০১৯ সালের ৩০ জুনে ছিল ২১ টাকা ৫৭ পয়সা। আর এ প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে চার টাকা ১৪ পয়সা লোকসান, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৫১ পয়সা।