নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরে বিনিয়োগকারীদের হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে আট কোম্পানি। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড: ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটি সাড়ে সাত শতাংশ নগদ ও সাড়ে সাত শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে চার টাকা এক পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৩২ টাকা ৯০ পয়সা। আগের বছর একই সময় যা ছিল যথাক্রমে চার টাকা ৫০ পয়সা ও ২৮ টাকা ৫৮ পয়সা। আর এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ২০ টাকা ৯৪ পয়সা, আগের বছর যা ছিল আট টাকা ৩৬ পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য আগামী ২৫ জুন বেলা ১১টায় অনলাইনে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ জুন।
প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড: ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটি সাড়ে ১৩ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে ইপিএস হয়েছে এক টাকা ৪৭ পয়সা এবং এনএভি দাঁড়িয়েছে ২৩ টাকা ৪৬ পয়সা। আগের বছর একই সময় যা ছিল যথাক্রমে দুই টাকা এক পয়সা ও ২৩ টাকা ২৫ পয়সা। আর এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে এক টাকা ৬৪ পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য আগামী ৯ জুলাই অনলাইনে এজিএম অনুষ্ঠিত হবে। এ জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ২১ জুন।
ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড: ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ সমাপ্ত হিসাববছরে ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে ইপিএস হয়েছে চার টাকা ৯২ পয়সা এবং এনএভি দাঁড়িয়েছে ৩১ টাকা ৯৮ পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য এজিএম স্থগিত রাখা হয়েছে। এ জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ জুন।
উত্তরা ব্যাংক লিমিটেড: ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ সমাপ্ত হিসাববছরে ১০ শতাংশ নগদ ও ২৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে ইপিএস হয়েছে চার টাকা ৫৯ পয়সা এবং এনএভি দাঁড়িয়েছে ৩৮ টাকা ৩৬ পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য এজিএম স্থগিত রাখা হয়েছে। আর রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ জুন।
ম্যারিকো বাংলাদেশ লিমিটেড: ৩১ মার্চ ২০২০ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য সর্বশেষ ২০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এর আগে কোম্পানিটি অন্তর্বর্তীকালীন ৭৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল, অর্থাৎ আলোচ্য হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটি মোট ৯৫০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করল। আলোচিত সময়ে ইপিএস হয়েছে ৮৪ টাকা এক পয়সা এবং এনএভি দাঁড়িয়েছে ৪৪ টাকা পাঁচ পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের আগামী ২২ জুলাই সকাল ১০টায় র্যাডিসন ব্ল– ঢাকা ওয়াটার গার্ডেনে এজিএম স্থগিত রাখা হয়েছে। আর রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১৮ জুন।
রেকিট বেনকিজার বাংলাদেশ লিমিটেড: ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ সমাপ্ত হিসাববছরে ১২৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে ইপিএস হয়েছে ১৩১ টাকা ছয় পয়সা এবং এনএভি দাঁড়িয়েছে ১৪২ টাকা ৬৪ পয়সা। আর রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ জুন।
হাইডেলবার্গ সিমেন্ট বাংলাদেশ লিমিটেড: ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ সমাপ্ত হিসাববছরে কোনো লভ্যাংশ না দেওয়ার ঘোষণা করেছে। লভ্যাংশ অনুমোদনের জন্য আগামী ২৪ জুন বেলা ১১টায় নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে কারখানা প্রাঙ্গণে এজিএম অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪ জুন।
ন্যাশনাল ক্রেডিট অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক: ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য ১৭ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করে ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ। লভ্যাংশ অনুমোদনের জন্য এজিএম এবং রেকর্ড ডেটও নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনার কারণে ব্যাংকটি তার ঘোষিত লভ্যাংশ, এজিএম ও রেকর্ড ডেট স্থগিত করেছে।