Print Date & Time : 19 June 2025 Thursday 2:40 am

আট বছর ধরে পরিত্যক্ত স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র

প্রতিনিধি, মধ্যনগর (সুনামগঞ্জ) : সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলার বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নে প্রায় আট বছর ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র। ফলে চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত ওই ইউনিয়নের ৩৭ হাজার মানুষ। হাওরবেষ্টিত দুর্গম এই ইউনিয়নের ৪৮টি গ্রামের ৩৭ হাজার মানুষ স্বাস্থ্যসেবা নিতে ব্যাপক দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।

জানা যায়, ১৯৮৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রটি। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই ভালোভাবেই প্রসূতি মা, শিশু ও বয়স্কদের চিকিৎসাসেবা দিয়ে আসছিল। ধীরে ধীরে ভবন দুটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় কমতে থাকে জনবল ও সেবার মান। পরে ২০১৪ সালের দিকে ওই ইউনিয়নের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রটির অবকাঠামো ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ সময় থেকেই কেন্দ্রটির কার্যক্রম বন্ধ হয়ে পড়ে। এর ধারাবাহিকতায় দীর্ঘদিন ধরে জনবল না থাকায় একেবারে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রটির কার্যক্রম বন্ধ আছে।

বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের ঢুলপুশি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামীউল কিবরিয়া তালুকদার বলেন, আমাদের ইউনিয়নের পুরাতন স্বাস্থ্যকেন্দ্র এটি। এখানে মানুষ একসময় নিয়মিত স্বাস্থ্যসেবা পেত। বর্তমানে ভবনগুলো পরিত্যক্ত থাকার কারণে আগের মতো আর মানুষকে স্বাস্থ্যসেবা দেয়া হয় না। অচিরেই ভবনগুলো নির্মাণ করে স্বাস্থ্যসেবা চালু করার জোর দাবি জানাচ্ছি।

ওই ইউনিয়নের নোয়গাঁও গ্রামের রংগু মিয়ার স্ত্রী রিনা বেগম বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই পরিত্যক্ত অবস্থায় স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি পড়ে আছে। প্রসূতিরা এক সময় নিয়মিত ডেলিভারি ও অন্যান্য সেবা পেলেও বর্তমানে সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। তাদের স্বাস্থ্যসেবা নিতে হলে পার্শ্ববর্তী কলমাকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যেতে হয়। তাই দুর্গম অঞ্চল বিবেচনায় আবারও এখানে স্বাস্থ্যসেবা চালু করা প্রয়োজন।

বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রাসেল আহমদ বলেন, ইতোমধ্যেই নতুন ভবন নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাই করা হয়েছে। নতুন ভবন নির্মাণ করা হলে জনবল সংকটও থাকবে না। আশা করি, সেখানে মানুষ প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা পাবে।

মধ্যনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদ হাসান খান বলেন, ‘যেহেতু বিষয়টি আমি জানলাম। কর্তৃপক্ষ যাতে বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রটির ভবন দুটি নির্মাণ এবং দ্রুত জনবল নিয়োগ করে সে বিষয়ে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গৃহীত হবে।’