নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন, ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণসহ চলমান বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে পাঁচ থেকে আট বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত অর্থায়নে আগ্রহ দেখিয়েছে বিশ্বব্যাংক।
গতকাল স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলামের সঙ্গে দেখা করে এ আগ্রহের কথা জানান বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া-বিষয়ক প্রতিনিধিদলের সদস্যরা।
বৈঠকের পর মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার গ্রাম আমার শহরে’ যেসব যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রয়োজন আছে, ব্রিজ-কালভার্ট করার প্রয়োজন আছে সেগুলোয় তারা সহযোগিতা করতে রাজি আছেন। কোস্টাল এলাকায় সাইক্লোন হয়, সেসব এলাকার দুর্গত মানুষদের পুনর্বাসনের জন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন। সেগুলোয় তারা অর্থায়নে রাজি আছেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের বেশ কিছু চলমান প্রকল্প আছে। আমাদের নতুনভাবে আরও কিছু প্রকল্প নিতে হবে। তারা আমাদের এখানে পাঁচ থেকে আট বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে রাজি আছে। এটা বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করা হবে।’
গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন, সেতু ও সড়ক আরও টেকসইভাবে নির্মাণে নতুন বেশ কয়েকটি প্রকল্প নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়ে তাজুল বলেন, এসব প্রকল্পে বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন করতে আগ্রহী হয়েছে। গ্রামের সব জায়গায় পয়োনিষ্কাশন ও পানি পৌঁছে দেয়ার বিষয়ে বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ এটা একটি সমন্বিত দর্শন। যেহেতু বিদ্যুৎ, স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ অন্যান্য মার্কেট তৈরি করার মতো অনেক প্রকল্প আমাদের দরকার। এর মাধ্যমে শহরের সুযোগ-সুবিধাগুলো গ্রামে পৌঁছে দেয়া সম্ভব হবে।
মন্ত্রী বলেন, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে আন্তর্জাতিক অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগীর সঙ্গে বিশ্বব্যাংকও আমাদের অর্থায়ন করে থাকে। আমরা যেসব প্রকল্পের জন্য অর্থ বিশ্ব ব্যাংকসহ অন্যান্য ব্যাংক থেকে নিই, সেটা যথাসময়ে ফেরত দিই।
আমরা এ পর্যন্ত কখনও ঋণখেলাপি হইনি। এতে বাংলাদেশের ব্যাপারে বিশ্বব্যাংকসহ অন্য অর্থলগ্নিকারী প্রতিষ্ঠানের আগ্রহ বেশি রয়েছে। বিশ্বব্যাংকও আমাদের টাকা দিতে চায়।
তবে সরকার কোন সংস্থার কাছ থেকে ঋণ নেবে তা এখনও ঠিক হয়নি বলে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা যত টাকা চাই এবং সে অনুযায়ী যদি প্রকল্প বের করি, তাহলে তারা অর্থায়ন করতে রাজি আছে। আমরা যাচাই-বাছাই করছি, এডিবি থেকে নেব নাকি ওয়ার্ল্ড ব্যাংক থেকে নেব, নাকি জাইকা থেকে নেব।’