নিজস্ব প্রতিবেদক: নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে এক হাজার একর জমির ওপর গড়ে উঠবে জাপানিজ অর্থনৈতিক অঞ্চল। এটি হবে দেশের প্রথম সরকার টু সরকার (জি২জি)ভিত্তিক অর্থনৈতিক অঞ্চল। এ পরিকল্পনা সামনে রেখে ইতোমধ্যে ৫০০ একর জমির অধিগ্রহণের কাজ শেষ হয়েছে। বাকি অধিগ্রহণের কাজ প্রক্রিয়াধীন।
এ উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ স্পেশাল ইকোনমিক জোন উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) জাপানের নিপ্পনকোয়ের সঙ্গে একটি চুক্তি সই করে। গতকাল রাজধানীর বেজা কার্যালয়ে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপক সালেহ আহমেদ ও নিপ্পনকোয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মাসায়ুকি ফুজি নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন।
প্রসঙ্গত, নিপ্পনকোয়ে, কোয়ে রিসার্চ অ্যান্ড কনসাল্টিং ইঙ্ক এবং নিপ্পনকোয়ে বাংলাদেশ যৌথভাবে বাংলাদেশ স্পেশাল ইকোনমিক জোন (জাপানিজ অর্থনৈতিক অঞ্চল) উন্নয়নের জন্য পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করবে।
এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য হলো টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন পণ্য উৎপাদনের জন্য ভিন্ন ভিন্ন প্রকৃতির শিল্প স্থাপনের সুবিধা সম্প্রসারণ, জাপানিজ এবং অন্যান্য স্থানীয় বিনিয়োগ আকর্ষণের অনুকূল পরিবেশ তৈরি করা ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচন, দেশের সুষম অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন নিশ্চিত করা।
ভূমি অধিগ্রহণের জন্য প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে তিন হাজার ১৯৫ কোটি ৮১ লাখ টাকা। বেজা আশা করছে, অর্থনৈতিক অঞ্চল চালু হলে, সেখানে প্রায় ২০ বিলিয়ন সমমূল্যের জাপানি বিনিয়োগ সম্ভব হবে, যার অধিকাংশই হবে জাপানের বিখ্যাত প্রতিষ্ঠানগুলোর। এর ফলে দক্ষ জনশক্তি তৈরি ছাড়াও প্রযুক্তি স্থানান্তরের ক্ষেত্র সম্প্রসারিত হবে বলে বেজা মনে করে। এছাড়া শিল্পবর্জ্য অপসারণ করার জন্য এ অঞ্চলে নির্মিত হবে রিসাইক্লিং প্লান্ট। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী।
সভাপতির বক্তব্যে বেজার চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী বলেন, জাইকা ও সরকারের সব নীতিমালা অনুসরণ করে সফলভাবে চুক্তি সই হয়েছে। দীর্ঘদিনের আকাক্সিক্ষত এ চুক্তি স্বাক্ষরের সঙ্গে জড়িত সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, এ উদ্যোগ এক বিশাল কর্মযজ্ঞের সূচনা মাত্র এবং একটি পরিকল্পিত জাপানিজ অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরির মাধ্যমে তার সফল পরিসমাপ্তি ঘটবে। তিনি জাপানের সুমিতোমো করপোরেশনকে এ কর্মকাণ্ডের অংশীদার হওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানান।